পুলিশের সহায়তায় মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা: ফখরুল
পুলিশের সহায়তায় আদালত প্রাঙ্গণে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
রবিবার (২২ জুলাই) বিকেলে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সম্পাদকমন্ডলীর যৌথ সভা শেষে তিনি এই দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মামলায় হাজিরা দিতে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলেন। তিনি জামিনও পান। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। যুবলীগও ছিলো। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি জেনে বিচারকের হস্তক্ষেপ চান মাহমুদুর রহমান। বিচারক আদালতে দায়িত্বরত ওসিকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। মাহমুদুর রহমান নিজেও ওপরের মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং পুলিশ মাহমুদুর রহমানকে আদালত থেকে বের করে এনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা মাহমুদুর রহমানকে কিভাবে আঘাত করে রক্তাক্ত করে দিয়েছে তা ইতোমধ্যে আপনারা সামাজিত মাধ্যমে সব দেখেছেন। গুরুতর আহত হওয়ার পর তাকে চিকিৎসা নিতেও দেয়া হয়নি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান গণতন্ত্রের প্রশ্নে সবসময় সোচ্চার। তাই এই সরকার পরিকল্পিতভাবে হামলা করিয়েছে। এই সরকার দেশের সকল কিছু ভেঙে দিয়েছে। মানুষের অধিকার হরণ করেছে। তীব্র আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এই সরকারকে সরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন জনপ্রিয় সম্পাদকের ওপর এভাবে নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ফজলুল হক মিলন, শ্যামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন এ্যানী, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।