রাজশাহীতে ১৩৮টি কেন্দ্রের ১১৪টিই ঝুঁকিপূর্ণ!
রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিসার ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার আতিয়ার রহমান বুধবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে আতিয়ার রহমান বলেন, সাধারণ একটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার কাজে সাতজন পুলিশ সদস্য ও ১৪ আনসার সদস্য থাকেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে ১৬ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
আতিয়ার রহমান বলেন, আগামী ২৮ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। আর সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের জন্য ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
তারা ভোটের দু’দিন আগ থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা ও জরিমানাসহ সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন৷
এছাড়া সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য পুলিশের একটি করে মোবাইল টিম কাজ করবে। আর পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত দু’টি করে ওয়ার্ডের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। অর্থাৎ ১৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ৩০টি ওয়ার্ডের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার বলেন, রাসিক নির্বাচনে এবার মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২১৭ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। আর ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আছেন ১৬০ জন প্রার্থী। এছাড়া ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থী ৫২ জন।
এবার সিটি করপোরেশনের ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। মোট ভোটারের মধ্যে এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা একটি বেড়ে হয়েছে ১৩৮টি। এর মধ্যে ১১৪টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। আর বর্ধিত ভোটকেন্দ্রটি হচ্ছে অনন্যা শিশু শিক্ষালয়। এটি ২৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ৩০ জুলাই নির্বাচনের দিন এবার মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ থাকবে। আর আগামী ২৭ জুলাই দিনগত রাত ১২টার আগে বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে হবে। ভোটার ছাড়া অন্য কোনো এলাকার বাসিন্দা নির্বাচনী সীমানার ভেতরে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে এ নির্দেশনার আওতায় যারা ব্যবসা বা কোন বিশেষ প্রয়োজনে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছেন তাদের এলাকা ছাড়তে হবে না।
এছাড়া নিরাপত্তাসহ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।