জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ
দুঃস্থ ও শরণার্থীদের সাহায্য করতে জাতিসংঘে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মেলার এবারের পর্বে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ভেতরে ইস্ট রিভার প্লাজায় দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনের স্ত্রী ফাহমিদা জাবিনের তত্ত্বাবধানে এবং স্থায়ী মিশন ও নিউ ইয়র্কে কনস্যুলেট জেনারেল অফিস কর্মকর্তাদের স্ত্রীদের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় এ মেলায় বাংলাদেশের দুটি স্টল অংশ নেয়।
জাতিসংঘ মেলায় বাংলাদেশের স্টল জাতিসংঘ মেলায় বাংলাদেশের স্টল জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের স্ত্রী ও ‘ইউএন উইমেন গিল্ড’ এর অনারারি প্রেসিডেন্ট ক্যাটারিনা ভাজ পিনটো গুতেরেজ এর আহ্বানে এ মেলার আয়োজন করেন ‘ইউএন উইমেন গিল্ড’, ‘ইউনাইটেড ন্যাশন্স ডেলিগেসন্স উইমেন ক্লাব’, ‘ইউনাইটেড ন্যাশন্স আফ্রিকান মাদারস্ অ্যাসোসিয়েশন’ এবং সদস্য দেশ ও সংস্থার কূটনীতিক-কর্মকর্তাদের স্ত্রীরা। আয়োজকরা জানান, মেলা থেকে উপার্জিত অর্থ জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাই কমিশনার ‘অফিস অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশন্স হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস’ (ইউএনএইচসিআর) এর মাধ্যমে বিশ্বের বাস্তুচ্যুত মানুষের সাহায্যার্থে এবং বিশ্বব্যাপী ‘ইউএন উইমেন গিল্ড’ ও ‘ইউনাইটেড ন্যাশন্স ডেলিগেসন্স উইমেন ক্লাব’ এর স্পন্সর করা নারী ও শিশু প্রকল্পে খরচ করা হবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এ মেলা ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে, তাদের জন্যও এটি কাজে আসবে।” মেলায় স্টলগুলো হাতে তৈরি খাবার, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারু ও হস্তশিল্প, পোশাক, শোপিস, লোকজ ও সাংস্কৃতিক উপাদানযুক্ত পণ্য দিয়ে সাজানো হয়। বাংলাদেশের স্টলে বাংলা লোকজ গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করা হয়। মেলা শেষে আয়োজক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা লটারির মাধ্যমে র্যাফেল ড্র’র বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।