নিউইয়র্কে বাসাবাড়ীতে টবে দেশীয় সবজির বাগান
এসএম সোলায়মান: লাউ, কুমড়া, করলা, ঝিংগাা, সিসিন্দা, সীম, লালশাক, পুইশাক, আর হরেক রকম মরিচসহ দেশীয় সকল চমৎকার সবজির চাষ করে নিউইয়র্কে একখন্ড বাংলাদেশ গড়েছেন জাহানারা হাজেরা। নিয়মিত চাকুরী করেও রাতে ঘুমাতে যাবার আগের সময়টুকু কাজে লাগিয়েই অর্ধ শত রকমের দেশীয় সবজির চাষ করেছেন তিনি। কঠোর শ্রমের এসব সবজি বিক্রি করেন না। আশে পাশের বসবাসরত বাংলাদেশীদের মাঝে বিলিয়ে দেয়াই জাহানারা হাজেরার প্রশান্তি।
নিউইয়র্কের জ্যামাইকা ৮৮-১৯, ১৮০স্ট্রীটের ৩৫০০ বর্গফুটের প্রাইভেট হাউজের পার্কিং লট আর উঠানের সামান্য জায়গাতেই টবে চাষ করা হয়েছে এসব বাংলাদেশী সবুজ শাকসবজির। শত ব্যস্ততাও হাজেরার শখের সবজি বাগানে সাহায্য করেন স্বামী মোহাম্মদ রহমান।
নিউইয়র্কে প্রায় ৩ লক্ষ বাংলাদেশীর বসবাস। সকলেই যদি জানারা হাজেরার মতো এভাবে নিজ বাসা বাড়ির আঙ্গীনায় ক্যামিকাল মুক্ত অর্গানিক সবজি করতেন তাহলে ফ্রেশ খাবারে সুস্বাস্থ্যবান ও অর্থ সাশ্রয় দুটো হতো। এমনটাই মনে করছেন জ্যামাইকার কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার খন্দকার তারিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান ইছাপুরার মেয়ে হাজেরা। বাবা আবুল কাশেম হাওলাদার ছিলেন একজন জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত সবজি চাষী ও কৃষিবিদ। ১২ মাসই সব রকমের সবজি চাষ করতেন আবুল কাশেম। বাবার পেশাকেই নেশা হিসেবে নিয়েছেন নিউইয়র্কে বসবাসরত হাজেরা ও তার অন্য ৩ বোন খাদিজা, খোরশেদা ও জোবায়দা। উডসাইড, জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকায় স্বপরিবারে বাস করেন ৪ বোন। ৪ বোনের বাড়ীই সামারে হয়ে শাক-সবজির বাংলাদেশ। তাদের এসব কাজে সহায়তা করেন তাদের স্বামীগণ।
যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ করে নিউইয়র্কে প্রতি মিনিট হিসেব হয় ডলারে। নিয়মিত চাকরী করেও শুধুমাত্র শখের নেশায় টবের মধ্যে এত বড় সবজি বাগান অবাক করে কমিউনিটিকে। তাও আবার এসব শ্রম আর শখের সবজি একটু ঠান্ডা শুরু হলেই সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।। তবুও থেমে থাকেনা হাজেরার স্বপ্ন। প্রতি সামারেই আবারো নতুন উদ্যমে শুরু করেন শখের নেশার সবজি বাগান।