মুজিবের ব্যর্থতা থেকে জন্ম হয় বিএনপি’র -শামসুল আলম
এক বুক আশা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ গিয়েছিল দেশ স্বাধীন করার যুদ্ধে। একটি স্বপ্নের বাংলাদেশে পাওয়ার আশার লাখ লাখ প্রাণ উৎসর্গ করেছিল। কিন্তু সদ্যস্বাধীন দেশে মানুষ পেয়েছিল ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষ, চুরি ডাকাতি খুন, ব্যাংক ডাকাতি, হাজার হাজার লাশ, লুটতরাজ, পারমিটবাজি, আইনের শাসনহীনতা, পাক মালিকানা থেকে আঙ্গুল উচিয়ে এক ব্যক্তির শাসন- ‘কোথায় আজ সিরাজ সিকদার’। সদ্য স্বাধীন দেশে পাকিস্তান ফেরত শেখ মুজিবকে দেশের মানুষ স্থান দিয়েছিল মাথার ওপরে, অথচ তিনি কেমন করে দেশ স্বাধীন হলো মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ খবর না নিয়েই হয়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট! যুদ্ধকালীন সফল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদকে অপসারণ করে নিজেই হয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী! পাকিস্তান থেকে প্রত্যাগতদের মিলিটারী সহ বিভিন্ন সেক্টরে পূণর্বাসন শুরু করলেন! যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন বলে আশ্বাস এবং হুঙ্কার দেয়ার পর বছর না ঘুরতেই তিনি জেলখানা খালি করে দিয়ে সবাইকে ক্ষমা করে দিলেন! অন্যদিকে, যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশের দুর্গত জনগনের জন্য বন্ধু দেশ হতে ৫০ লক্ষ টন খাদ্য, হাজার কোটি টাকার নানাবিধ সাহায্য উপকরণ আসলেও পারমিটবাজি ও লুটতরাজ করে চাটারদল খেয়ে ফেলল। সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য ৮ কোটি কম্বল আসলেও মুজিব তাঁর নিজের কম্বলটি খুঁজে পাননি। মানুষ প্রতিবাদ করলো, মুজিব নামিয়ে দিলেন লাল বাহিনী নীল বাহিনী, চারিদিকে যুবকের লাশ পড়ে রইল। কত লাশ? ৩০ হাজার, ৪০ হাজার, নাকি তারও বেশি? তাতেও তার খায়েশ মেটে না, জারী করলেন জরুরী অবস্খা, নামিয়ে দিলেন কুখ্যাত রক্ষী বাহিনী। শেষে খায়েশ হলো – আজীবন ক্ষমতা থাকব- সাংবিধানিক ক্যু করে ১১ মিনিটে জারী করলেন- একদলীয় শাসন বাকশাল! আগস্টের ১৫ তারিখে ঘোষণা করবেন আজীবনের ক্ষমতা!
কেমন ছিল মুজিবের শাসন: বিদেশী পত্রপত্রিকা কি বলে?
১৯৭৪ সালের ৩০ শে মার্চ গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখেছিল,__________ “আলীমুদ্দিন ক্ষুধার্ত। সে ছেঁড়া ছাতা মেরামত করে। বলল, যেদিন বেশী কাজ মেলে, সেদিন এক বেলা ভাত খাই। যেদিন তেমন কাজ পাই না সেদিন ভাতের বদলে চাপাতি খাই। আর এমন অনেক দিন যায় যেদিন কিছুই খেতে পাই না।” তার দিকে এক নজর তাকালে বুঝা যায় সে সত্য কথাই বলছে। সবুজ লুঙ্গির নীচে তার পা দু’টিতে মাংস আছে বলে মনে হয় না।
ঢাকার ৪০ মাইল উত্তরে মহকুমা শহর মানিকগঞ্জ। ১৫ হাজার লোকের বসতি। তাদের মধ্যে আলীমুদ্দিনের মত আরো অনেকে আছে। কোথাও একজন মোটা মানুষ চোখে পড়ে না। কালু বিশ্বাস বলল, “আমাদের মেয়েরা লজ্জায় বের হয় না-তারা নগ্ন।” আলীমুদ্দিনের কাহিনী গোটা মানিকগঞ্জের কাহিনী। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাহিনী, শত শত শহর বন্দরের কাহিনী। এ পর্যন্ত বিদেশ থেকে ৫০ লাখ টনেরও বেশী খাদ্যশস্য বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যাদের জন্য পাঠানো হয়েছে তারা পায়নি।”
১৯৭৪ সালের ২৭ সেপ্টম্বর তারিখে লন্ডনের নিউ স্টেট্সম্যান লিখেছিল__________
“বাংলাদেশ আজ বিপদজনক ভাবে অরাজকতার মুখোমুখি। লাখ লাখ লোক ক্ষুধার্ত। অনেকে না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। .. ক্ষুধার্ত মানুষের ভীড়ে ঢাকায় দম বন্ধ হয়ে আসে।.. বাংলাদেশ আজ দেউলিয়া। গত আঠার মাসে চালের দাম চারগুণ বেড়েছে। সরকারি কর্মচারিদের মাইনের সবটুকু চলে যায় খাদ্য-সামগ্রী কিনতে। আর গরীবরা থাকে অনাহারে। কিন্তু বিপদ যতই ঘনিয়ে আসছে শেখ মুজিব ততই মনগড়া জগতে আশ্রয় নিচ্ছেন। ভাবছেন, দেশের লোক এখনও তাঁকে ভালবাসে; সমস্ত মুসিবতের জন্য পাকিস্তানই দায়ী। দেশ যখন বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে,তখনও তিনি দিনের অর্ধেক ভাগ আওয়ামী লীগের চাঁইদের সাথে ঘরোয়া আলাপে কাটাচ্ছেন। .. তিনি আজ আত্মম্ভরিতার মধ্যে কয়েদী হয়ে চাটুকার ও পরগাছা পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন।.. সদ্য ফুলে-ফেঁপে ওঠা তরুণ বাঙালীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের শরাবখানায় ভীড় জমায়। তারা বেশ ভালই আছে। এরাই ছিল মুক্তিযোদ্ধা- বাংলাদেশের বীর বাহিনী। .. এরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের বাছাই করা পোষ্য। আওয়ামী লীগের ওপর তলায় যারা আছেন তারা আরো জঘন্য। .. শুনতে রূঢ় হলেও কিসিঞ্জার ঠিকই বলেছেনঃ “বাংলাদেশ একটা আন্তর্জাতিক ভিক্ষার ঝুলি।”
১৯৭৪ সালে ১৮ অক্টোবর বোষ্টনের ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটরে ডানিয়েল সাদারল্যান্ড লিখেছিলেন,__________“গত দুই মাসে যে ক্ষুধার্ত জনতা স্রোতের মত ঢাকায় প্রবেশ করেছে, তাদের মধ্যে সরকারের সমর্থক একজনও নেই! বন্যা আর খাদ্যাভাবের জন্য গ্রামাঞ্চল ছেড়ে এরা ক্রমেই রাজধানী ঢাকার রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তির আশ্রয় নিচ্ছে। কিন্তু মনে হচ্ছে সরকার এদেরকে রাজপথের ত্রিসীমানার মধ্যে ঢুকতে না দিতে বদ্ধপরিকর। এরই মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যককে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে সারাদিন দুই এক টুকরা রুটি খেতে পাওয়া যায, মাঝে মাঝে দুই-একটা পিঁয়াজ ও একটু-আধটু দুধ মেলে। ক্যাম্পে ঢুকলে আর বের হওয়া যায় না। “যে দেশে মানুষকে এমন খাঁচাবদ্ধ করে রাখা হয় সেটা কি ধরনের স্বাধীন দেশ”- ক্রোধের সাথে বলল ক্যাম্পবাসীদেরই একজন।
১৯৭৪ সালে ৩০ অক্টোবর লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় পিটার প্রেসটন লিখেছিলেন,__________“এই সেদিনের একটি ছবি বাংলাদেশের দৃশ্যপট তুলে ধরেছে। এক যুবতি মা -তার স্তন শুকিয়ে হাঁড়ে গিয়ে লেগেছে, ক্ষুধায় চোখ জ্বলছে – অনড় হয়ে পড়ে আছে ঢাকার কোন একটি শেডের নীচে, কচি মেয়েটি তার দেহের উপর বসে আছে গভীর নৈরাশ্যে। দু’জনাই মৃত্যুর পথযাত্রী। ছবিটি নতুন, কিন্তু চিরন্তন। স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকা দুনিয়ার সবচেয়ে বীভৎস শহরে পরিণত হয়েছে-কলিকাতার চেয়েও! সমস্ত বীভৎসতা সত্ত্বেও কোলকাতায় ভীড় করা মানুষের যেন প্রাণ আছে, ঢাকায় তার কিছুই নাই। ঢাকা নগরী যেন একটি বিরাট শরাণার্থী-ক্যাম্প।
১৯৭৪ সালে ২রা অক্টোবর, লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় জেকুইস লেসলী লিখেছিলেন,__________“একজন মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে, আর অসহায় দৃষ্টিতে তার মরণ-যন্ত্রণাকাতর চর্মসার শিশুটির দিকে তাকিয়ে আছে। বিশ্বাস হতে চায় না, তাই কথাটি বোঝাবার জন্য জোর দিয়ে মাথা নেড়ে একজন ইউরোপীয়ান বললেন, সকালে তিনি অফিসে যাচ্ছিলেন, এমন সময় এক ভিখারি এসে হাজির। কোলে তার মৃত শিশু। ..বহু বিদেশি পর্যবেক্ষক মনে করেন বর্তমান দুর্ভিক্ষের জন্য বর্তমান সরকারই দায়ী। “দুর্ভিক্ষ বন্যার ফল ততটা নয়, যতটা মজুতদারী চোরাচালানের ফল”- বললেন স্থানীয় একজন অর্থনীতিবিদ।.. প্রতি বছর যে পরিমান চাউল চোরাচালন হয়ে (ভারতে) যায় তার পরিমাণ ১০ লাখ টন।”
১৯৭৪ সালের ২৫ অক্টোবর হংকং থেকে প্রকাশিত ফার ইষ্টার্ণ ইকনমিক রিভিয়্যূ পত্রিকায় লরেন্স লিফথসুলজ লিখেছিলেন,__________সেপ্টেম্বর তৃতীয় সপ্তাহে হঠাৎ করে চাউলের দাম মণ প্রতি ৪০০ টাকায় উঠে গেল। অর্থাৎ তিন বছরে আগে স্বাধীনতার পূর্বে যে দাম ছিল, এই দাম তার দশ গুণ! এই মূল্যবৃদ্ধিকে এভাবে তুলনা করা যায় যে, এক মার্কিন পরিবার তিন বছর আগে যে রুটি ৪০ সেন্ট দিয়ে কিনেছে, তা আজ কিনছে ৪ পাউন্ড দিয়ে। কালোবাজারী অর্থনীতির কারসাজিতেই এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটে।.. ২৩শে সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার প্রাক্কালে শেখ মুজিব ঘোষণা করলেন, “প্রতি ইউনিয়নে একটি করে মোট ৪,৩০০ লঙ্গরখানা খোলা হবে।” প্রতি ইউনিয়নের জন্য রোজ বরাদ্দ হল মাত্র দু’মন ময়দা, যা এক হাজার লোকের প্রতিদিনের জন্য মাথাপিছু একটি রুটির জন্যও যথেষ্ট নয়!”
নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা ১৯৭৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর তারিখে লিখেছিল,__________
জনৈক কেবিনেট মন্ত্রীর কথা বলতে গিয়ে একজন বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ বললেন, “যুদ্ধের পর তাঁকে (ঐ মন্ত্রীকে) মাত্র দুই বাক্স বিদেশি সিগারেট দিলেই কাজ হাসিল হয়ে যেত, এখন দিতে হয় অন্ততঃ এক লাখ টাকা!” ব্যবসার পারমিট ও পরিত্যক্ত সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য আওয়ামীলীগারদের ঘুষ দিতে হয়। সম্প্রতি জনৈক অবাঙ্গালী শিল্পপতি ভারত থেকে ফিরে আসেন এবং শেখ মুজিবের কাছ থেকে তার পরিত্যক্ত ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানাটি পুণরায় চাল করার অনুমোদন লাভ করেন। শেখ মুজিবের ভাগিনা শেখ মনি -যিনি ঐ কারখানাটি দখল করে আছেন- হুকুম জারি করলেন যে তাকে ৩০ হাজার ডলার দিতে হবে। শেখ মুজিবকে ভাল করে জানেন, এমন একজন বাংলাদেশী আমাকে বললেন, “লোকজন তাকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করুক, এটা তিনি পছন্দ করেন। তাঁর আনুগত্য নিজের পরিবার ও আওয়ামী লীগের প্রতি। তিনি বিশ্বাসই করেন না যে, তারা দুর্নীতিবাজ হতে পারে কিংবা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে!”
প্রখ্যাত তথ্যানুসন্ধানী সাংবাদিক জন পিলজার ১৯৭৪ সালের ১৭ই ডিসেম্বর লন্ডনের ডেইলী মিরর পত্রিকায় লিখেছেন,__________“একটি তিন বছরের শিশুকে এত শুকনো যে মনে হল যেন মায়ের পেটে থাকাকালীন অবস্থায় ফিরে গেছে। আমি তার হাতটা ধরলাম। মনে হল তার চামড়া আমার আঙ্গুলে মোমের মত লেগে গেছে। এই দুর্ভিক্ষের আর একটি ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান এই যে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৫০ লাখ মহিলা আজ নগ্ন দেহ! পরিধেয় বস্ত্র বিক্রি করে তারা চাল কিনে খেয়েছে।”
লন্ডনের “ডেইলী টেলিগ্রাফ” ১৯৭৫ সালের ৬ই জানুয়ারী ছেপেছিল,__________“গ্রাম বাংলায় প্রচুর ফসল হওয়া সত্ত্বেও আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম গত মাসে ঢাকার রাস্তা, রেল স্টেশন ও হাসাপাতালগুলোর মর্গ থেকে মোট ৮৭৯টি মৃতদেহ কুড়িয়ে দাফন করেছে। এরা সবাই অনাহারে মরেছে। সমিতিটি ১৯৭৪ সালের শেষার্ধে ২৫৪৩টি লাশ কুড়িয়েছে- সবগুলি বেওয়ারিশ। এগুলোর মধ্যে দেড় হাজারেরও বেশী রাস্তা থেকে কুড়ানো। ডিসেম্বরের মৃতের সংখ্যা জুলাইয়ের সংখ্যার সাতগুণ।.. শেখ মুজিবকে আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বোঝা বলে আখ্যায়িত হচ্ছে। ছোট-খাটো স্বজনপ্রাতির ব্যাপারে তিনি ভারী আসক্তি দেখান। ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া বাকী পড়ে থাকে।.. অধিকাংশ পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস, আর্থিক ও রাজনৈতিক সংকট রোধ করার কোন সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম এ সরকারের নেই। রাজনৈতিক মহল মনে করেন, মুজিব খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বুনিয়াদ আরও নষ্ট করে দেবেন। তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন। ডেইলী টেলিগ্রাফের আশংকা সত্য প্রমাণিত হয়েছিল। শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। জরুরী অবস্থা জারি করেছেন, আরো বেশী ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন। অবশেষে তাতেও খুশি হননি, সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে তিনি একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। আওয়ামী লীগ যাকে নিয়ে গর্ব করে, এ হলো তার অবদান”। (বিদেশী পত্রিকাগুলির অনুবাদ সূত্র: দ্য স্টোরি অব বাংলাদেশ)
এভাবেই মুজিব ধীরে ধীরে মানব থেকে দানবে রূপান্তরিত হলেন। জাতির ঘড়ে চেপে বসলেন জগদ্দল পাথরের মতো। দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে যে সৈনিকেরা একদিন যুদ্ধে গিয়েছিল, তাদেরই একটি দল স্বৈরাচার মুজিবকে অপসারণ করে তারই নিজ দলীয় নেতাদের পরিকল্পনায়। দেশে আসে সেনা শাসন। দেশের প্রয়োজনে বিশৃঙ্খল মিলিটারীকে শৃঙ্খলায় ফিরাতে সক্ষম হন জেনারেল জিয়া। সময়ের দাবীতে ধংসপ্রাপ্ত দেশ উদ্ধারে জনগন নিয়ে সামনে এগিয়ে চললেন রাষ্ট্রপতি জিয়া- হাতে ১৯ দফা। গঠন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। বিভিন্ন মত পথের মানুষকে একটি প্লাটফর্মে এনে তলানী থেকে দেশ উদ্ধার করে পূণর্গঠনে নেমে পড়লেন এবং সফল হলেন। মুজিবের ব্যর্থতা থেকে জন্ম নিলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।