‘কমিউনিটি পাওয়ার’ শ্লোগানে যাত্রা শুরু করলো -বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রগ্রেস-বাপ
সালাহউদ্দিন আহমেদ, নিউইয়র্ক (ইউএনএ): আমেরিকান রাজনীতিতে বাংলাদেশী কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে কমিউনিটি ক্ষমতায়নের প্রত্যয়ে নিউইয়র্কে নতুন প্রজন্মের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রগ্রেস (বাপ)। ‘কমিউনিটি পাওয়ার’ শ্লোগানে মূলধারার রাজনীতিকদের উপস্থিতিতে জ্যাকসন হাইটসের একটি রেষ্টুরেন্টে কেক কেটে গত ১৩ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় বাপ-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে মৌমিতা আহমেদ ও ত তাহিতুল মরিয়ম-এর যৌথ সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সদস্য সমাপ্ত কুইন্স ডিষ্ট্রিক্ট এটর্নী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী টিফানী কাবান সহ বাপ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাসেল রহমান, আরিফ উল্লাহ, শাহানা হানিফ, আবেদা খানম, সানিয়াত চৌধুরী, রায়হান ফারুকী সহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশী-আমেরিকান ভোটারদের অবস্থান এবং আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশী-আমেরিকান ভোটার বৃদ্ধি সহ বাংলাদেশী কমিউনিটির সম্ভাবনা গ্রাফিক্সের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। পরে প্রশ্নত্তোর পর্বে বাপ নেতৃবৃন্দ তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা নতুন প্রজন্মের বক্তারা বলেন, আমাদের বাপ-দাদা-দাদী, ভাই-বোনেরা বাংলাদেশী রাজনীতির চর্চা করলেও আমরা ঐ রাজনীতি করতে চাই না। আমরা আমেরিকান রাজনীতি করতে চাই। তারা বলেন ‘উই ডন্ট কেয়ার বাংলাদেশীজ আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর আদার পার্টি’।
অনুষ্ঠানে ইউএস কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও’র প্রতিনিধি ছাড়াও নিউইয়র্ক সিটির কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রীংগার, সিটি কাউন্সিলম্যান ডানিয়েল ড্রম, কস্টা, আলেয়া লতিফ সহ ডেমোক্র্যাট পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশী-আমেরিকান প্রার্থীদের মধ্যে ষ্টেট অ্যাসেম্বলীওম্যান প্রার্থী মেরী জোবায়দা ও জয় চৌধুরী সহ অন্যান্যদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স, ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস বরো থেকে বিপুল সংখ্যক ডেমোক্র্যাট সমর্থক নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি সহ অভিভাবগণ উপস্থিত ছিলেন।