ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যেই আবরার এর খুনিদের চলাফেরা
শহীদ আবরার এর হত্যাকারীদের অনেকেই এখনো সকল প্রকার আইনের ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে গেছে ।
খুনি-সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যেই ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চলতি সেমিস্টার পরীক্ষাতেও অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে প্রশাসনিক ভাবে। এই সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে ফিরে আসায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেকটাই আতঙ্কে রয়েছেন। অপরাধীদের বিচার না হওয়ায় অপরাধ প্রবণতা বাড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
ঘটনার উত্তেজনা থামাতে বুয়েট প্রশাসন আবরার হত্যার সাথে জড়িতদের স্থায়িভাবে বহিষ্কারের নোটিশ দিলেও হাইকোর্ট এর নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়েছে। নিশ্চই জাতির জন্য লজ্জ্বার বিষয় এটি।
তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে আবরারকে মারার নির্দেশনা দেন। ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার দুটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসা হয়। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সামসুল আরেফিন রাফাত স্টাম্প এনে দিলে তা দিয়ে ইফতি মোশাররফ সকাল চার-পাঁচটি আঘাত করলে স্টাম্পটি ভেঙে যায়। পরবর্তীতে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র অনিক সরকার, আবরারের হাঁটু, পা, পায়ের তালু ও বাহুতে স্টাম্প দিয়ে মারতে থাকেন। এরপর ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন আবরারকে চড় এবং স্টাম্প দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করেন। অবশেষে সারা রাত অমানবিক নির্যাতনের কারণে মারা যায় আবরার।