মির্জাগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী গ্রেফতার
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ মুক্তা বেগম (৩২)। উপজেলার উত্তর সুবিদখালী গ্রামে রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে। নিহত মুক্তা বেগম উত্তর সুবিদখালী গ্রামের দুবাই প্রবাসী আবদুস সালাম গাজীর স্ত্রী। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ঐদিন (রবিবার) দুপুরের পর তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। স্বামী সালাম গাজী ক্ষোভে ঘর থেকে বাহিরে চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পরে ফিরে এসে ভিতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে জানালা দিয়ে তাকিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মুক্তা বেগমকে ঝুলে থাকতে দেখেন। তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মুক্তা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানিয়া আক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় রবিবার রাতে নিহতের বাবা মোঃ মন্নান সর্দার বাদী হয়ে ‘আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে’ নিহতের স্বামী আবদুস সালাম গাজীকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৩/২০২০। মামলার অন্য আসামীরা হলেন নিহত গৃহবধু মুক্তা বেগমের শাশুড়ী সুফিয়া বেগম ও ননদ মোসা. রাহিমা বেগম।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান,এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারন জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামী আবদুস সালাম গাজীকে গ্রেফতার করে সোমবার মির্জাগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।