মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পালন করেছে মালয়েশিয়ায় আওয়ামীলীগ
কায়সার হামিদ হান্নান ,মালয়েশিয়া
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ। স্থানীয় সময় রোববার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের গ্র্যান্ড প্যাসিফিক হোটেলের বলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অহিদুর রহমান অহিদ।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী ও প্রকৌশলী মো. রাহাদ উজ্জামানের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মালয়েশিয়ার ক্রাইম প্রিভেনশন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক দাতো ফুয়াদ বিন তালেব ও প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ বাদল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম, মালয়েশিয়া আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক এ কামাল হোসেন চৌধুরী, মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেহেদি মাসুদ, মো. সোহেল রানা ও শাখাওয়াত সুমন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ শেষে জাতীয় সংগীত ও এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য হুমায়ুন কবির, কবি আলমগীর হোসেন, নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া, হুমায়ুন কবির আমির, লিটন আজিজ দেওয়ান, শাখাওয়াত হোসেন, সঞ্জয় খান্না বিদ্যুৎ, শাহাজালাল, কুয়ালালামপুর মহানগর আওয়ামী লীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, জহুর বারু প্রাদেশিক আওয়ামী লীগ শাখার সভাপতি ফাহিম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম আমিন, পিজে আওয়ামী লীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, ক্লাং আওয়ামী লীগ শাখার সভাপতি সোহাগ, নিলাই আওয়ামী লীগ শাখার সভাপতি রানা ফকির, বাতুকেভস শাখার খোকন কর্মকার, পাংসাপুরী কায়োবাকা শাখার সভাপতি মনির, রাওয়াং শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির, জাকির, মঞ্জুরুল, ইকবাল, আমিন, মানিক, মালয়েশিয়া ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তারিকুল ইসলাম ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মালয়েশিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে বন্দী ছিলেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর ১৯৭২ সালের এ দিনে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। জাতির পিতা বাঙালির মুক্তির জন্য সারাজীবন লড়াই করেছেন আর তাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নয়, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বাঙালিরাই নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
বিদেশের মাটিতে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন বিদেশিদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরার এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা।