মালয়েশিয়ায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি আটক
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় অভিবাসন বিভাগের অভিযানে ২০০ বাংলাদেশিসহ আটক করা হয়েছে ৪ শতাধিক বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের। ৭ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার শাহ আলম, সেলাংগার, কেডাহ ও রাজধানী কুয়ালালামপুরের কনস্ট্রাকশন সাইটে অভিযান পরিচালনা করে ইমিগ্রেশন ও পুলিশ।
৭ জানুয়ারি শাহ আলমের বাতুকাভাহ, কোতা দামানছারার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় পাচার রায়া, মেডান সেলেরা, রেস্টুরেন্টসহ ৭টি জায়গায় অভিযানে আটক করা হয় ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৮২ জনকে। এ ছাড়াও কেহডার আলোস্টারের কুলিমে একটি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে ৭০ জন বাংলাদেশিসহ ১৪৫ জনকে আটক করে। অপর এক অভিযানে আলোরস্টার ৫৬ বাংলাদেশিসহ ৭০ জনকে আটক করে।
৮ জানুয়ারি রাজধানীর বুকিত কিরিংছি ও কেপোং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ বাংলাদেশিসহ ৩৪ জনকে আটক করে। সবশেষে ১০ জানুয়ারি শাহ আলমের একটি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন সাইটে অভিযান চালিয়ে ৯৭ জনকে আটক করা হয়। এ ছাড়াও মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের অভিযানে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও আটক হচ্ছে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা। তাই গত বছরের আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সে দেশের সরকার ব্যাক ফর গুড কমসূচির ঘোষণা করে।
অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে অভিবাসন বিভাগ।
এদিকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন বিভাগ। এটা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে যা শুধু জাতীয় ও সীমান্ত নিরাপত্তাকেই বিঘ্নিত করে না বরং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অবৈধ শ্রমিক বা অভিবাসীদের তাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার জন্য মালয়েশিয়া সরকার ২০১৭ সালে সুযোগ দেয়। শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট। ওই বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়ে বহু বাংলাদেশি রেজিস্ট্রেশন করে প্রতারনার শিকার হয়। এরপর অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সে দেশের সরকার ব্যাক ফর গুড কর্মসূচির মাধ্যমে দেশ ত্যাগের সুযোগ দেয়। যা শেষ হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯।