আসুন আমরা সবাই কানাডা প্রবাসী সুলতানা শিরীন সাজি’র পরিবারের পাশে দাড়াই!
কানাডা প্রবাসী সুলতানা শিরীন সাজি একজন লেখক। প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে তিনি একজন পরিচিত মুখ। তার পরিবারের একটি বড় দুঃসংবাদ হলো, তার স্বামী মান্নান মোহাম্মদ মিঠু’র ক্যান্সার ধরা পড়েছে তৃতীয়বারের মতো। এর আগে দুইবার ক্যান্সার ধরা পড়লেও তিনি চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে উঠেছিলেন।
এবারের চিকিৎসাটি ব্যয়বহুল। এর জন্য Ontario তে কোন Funding নেই। ৬ মাস Immunotherapy র জন্য প্রায় ১২০ হাজার ডলার(Canadian) দরকার। এ জন্য সুলতানা শিরীন সবার কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবারের পাশে দাড়ানোর জন্য। তার ব্যাংক একাউন্ট ইনফরমেশন :-
Sultana Shirin
CIBC Bank
Transit number: 00706
Institution number: 010
Account number: 8524890
You can e-transfer at:
[email protected]
Tel: 613 355 8684
নিচে সুলতানা নাসরীন সাজির আবেদনটি তুলে ধরা হলো :
“সহযোগিতা চাইছি”
আমি সুলতানা শিরীন সাজি।
দুইমাস পার হলো আমাদের জীবনটা নড়ে গেছে আবারো!
নভেম্বর ১২’২০১৯ এ Colonoscopy তে আমার husband (মান্নান মোহাম্মদ মিঠু’র) তৃতীয়বার ক্যান্সার ধরা পড়ে।
দুইবার ক্যান্সার সারভাইভর সে।২০০৩ এ কোলন এবং ২০০৯ এ স্টোমাক।
প্রথমবার তিন বছর পেটব্যথা এবং ওজন কমা ছাড়াও অনেক symptoms ছিল।
দ্বিতীয়বারের ফলোআপের মধ্যেই একটা Tumour অপারেশন করতে যেয়ে ডাক্তার Stomach এ টিউমার পান ২০০৯ এ।
সেটা ক্যান্সার ছিল।
কিমো এবং রেডিয়েশনের পর ৫ বছর ফলোআপ চলে এবং ২০১৪ তে Cancer Free বলে Ottawa Cancer Centre থেকে রিলিজ দেয়া হয়।
এরপর চলছিল জীবন। আনন্দে!
বেঁচে থাকার অপার আনন্দ নিয়ে।
কিন্তু আবার ও থেমে পড়া।
এবং এবার কোন symptoms ছাড়া। ক্যান্সার যেনো বুঝে গিয়েছিল এই মানুষটা একটা Fighter.
Onchologist দুইটা treatment বলেছে।
Chemotherapy আর Immunotherapy.
Chemotherapy শুরু হয়েছে ৭ জানুয়ারী থেকে।
Immunotherapy govt approved কিন্তু এর জন্য Canada’র Ontario তে কোন Funding নাই।
৬ মাস Immunotherapy র জন্য প্রায় ১২০ হাজার ডলার(Canadian) দরকার।Specifically, the immunotherapy drugs he suggested are Nivolumab and Ipilimumab.
আমার পাশে আমার বন্ধুরা দাঁড়াতে চাইছে।
আমি চাইছি সারা পৃথিবীর সব বন্ধু এবং আত্মীয়দের দোয়া এবং সহযোগিতা।
যার যতটুকু সম্ভব। আমাদের বেঁচে থাকার এই যুদ্ধে সবাইকে পাশে চাইছি।
সবাই মিলে আমরা পারবো রাশীক/রাইয়ান এর বাবার চিকিৎসা করাতে। ও যেনো আবারো ভালো হয়ে ওঠে। রাশীকের বউ বাসমাহ সহ আমরা যেনো আনন্দ সময় কাটাতে পারি।
রাশীকের বাবা আমাকে ডেকে যেনো বলে,অনেকদিন কবিতা,গল্প লিখছোনা। এমন করলে নোবেল প্রাইজ কি করে পাবে?
আর একথা শুনে আমি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যাই।
প্রার্থনায় আছি। সব যেনো সহজ হয়। সবার দোয়া চাইছি।
আমাদের মা বলতেন যারা আত্মার কাছে থাকে তারাই আত্মীয়। আমি আশায় আছি। সবার সহযোগিতার।
আমাদের যা আছে তা নিয়ে আমরা চিকিৎসা শুরু করছি।
ভালোবাসা বন্ধুরা। তোমাদের দিকে হাত বাড়িয়ে আছি। আমরা যেনো তোমাদের সবার সহযোগিতায় এই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারি।
তোমাদের ভালোবাসাতেই,পাশে থাকাতেই আবারো “বেঁচে থাকা যে দারুণ ব্যাপার” তা প্রমাণিত হবে।