ছাত্রলীগ সভাপতির হলে ‘টর্চারসেল’!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ‘শিবির সন্দেহে’ চার শিক্ষার্থীকে রাতভর মারধর ও নির্যাতন করে ওই হল শাখা ছাত্রলীগ এবং হল সংসদের নেতাকর্মীরা। ওই একই হলে থাকেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তিনি জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগ শোক র্যালি করেছে। তারা বলেছে, ছাত্রলীগ আর এ ধরনের ঘটনায় জড়িত হবে না। কিন্তু এ ঘটনার তিন মাস না যেতেই স্বয়ং ছাত্রলীগ সভাপতির হলে ‘বেপরোয়া’ তাঁর সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাহলে পুরো ক্যাম্পাসে কি অবস্থা?
হল সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় হলে ছিলেন না। তিনি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রচারণার কাজে হলের বাইরে ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় নৈতৃত্ব দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও আমির হামজা সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, যে হলে খোদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভপতি থাকেন সেই হলে এবং তারই অনুসারীদের দ্বারা রাতভর শিক্ষার্থী নির্যাতন কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারা প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রলীগ সভাপতির দায়িত্ব ও ভূমিকা নিয়ে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে কথা কথা বলতে আল নাহিয়ান খান জয়কে মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
প্রসঙ্গত, ২১ জানুয়ারি মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে চার শিক্ষার্থীকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ ও মারধরের অভিযোগ উঠে ওই হল শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। মারধরের পর হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ ওই শিক্ষার্থীদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তবে এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশ ওই চার শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেন।