হবিগঞ্জে স্কুল ছাত্রের হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ চরহামুয়া এলাকার খোয়াই নদী থেকে ইসমাঈল হোসেন বিদয় (১২) নামে এক স্কুল ছাত্রের হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শিশুর মা জানান- কয়েকদিন আগে ইসমাইল হোসেনকে ১৫ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়া হয়। গত শুক্রবার বিকেলে সে ইউটিউবে ছাড়ার জন্য ফানি ভিডিও করতে মোবাইল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। রাত হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে ওইদিন রাতেই নিখোঁজ ছাত্রের মা হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এদিকে, গতকাল সোমবার সকালে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চরহামুয়া এলাকায় একটি লাশ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও স্কুলছাত্রের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ সনাক্ত করে। সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত শিশুর মায়ের অভিযোগ- একই গ্রামের কদর আলীর ছেলে সাইম মিয়া (১৫) শুক্রবার বিকেলে ইসমাইলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই ইসমাইল নিখোঁজ হয়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইম মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত স্কুল ছাত্র উপজেলা উত্তর তেঘরিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী ফারুক মিয়ার পুত্র। সে তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র। সন্দেহভাজন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, দাফন না করে লাশবাহী ফ্রীজ গাড়িতে রাখা হয়েছে লাশটি। জানা গেছে তার প্রবাসী পিতা সোমবার বিকেলেই সৌদি আরব থেকে দেশে আসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দেশে ফেরত এসে লাশ দাফন করবেন বলে জানা গেছে। এই নৃংশস হত্যার ঘটনায় জেলায় শোকের ছাড়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ায়ী সে নিখোজ হয় মর্মে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন তার মা শাহেনা আক্তার। এর পর থেকেই তাকে খুজতে নামে পুলিশ। হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসুক আলী জানান, এটি একটি পরিকল্পীত হত্যাকান্ড। নিহত শিশুর গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তদন্ত চলছে আশা করা যায় খুব শীঘ্রই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে।