প্রশ্ন হলো: পুলিশের পার্টি কোনটি?
ঢাকার মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচরণা কার্যে উপর্যুপরি হামলা করেছে আওয়ামীলীগ সমর্থিতরা।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পুলিশের কাছে একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক জানতে চাইলে তিনি বলেন;
”পরিস্থিতি ‘নরমাল’ (স্বাভাবিক) আছে। ইশরাকের (ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী) পার্টি মতিঝিল এলাকায় চলে গেছে। আর আমাদের যে পার্টি আছে, ওরা আছে-সেন্ট্রাল উইমেন্সের (সেন্ট্রাল উইমেন কলেজ) সামনে আছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একজন পুলিশ সদস্যের টিভি চ্যানেলে দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশ সদস্যের এমন বক্তব্য নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নেটিজেনরা বলছে, পুলিশের আবারও পার্টি আছে নাকি? আবার কেউ কেউ বলছেন, পুলিশের পার্টি কোনটা…? কেউ কেউ আবার আরও একধাপ এগিয়ে এসে বলছেন, অতি দ্রুত তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি হোক।
একজন নেটিজেন লিখেছেন, ”এই হলো আমাদের দেশের পুলিশদের অবস্থা। ভাবতে ঘৃণা হয়। বাংলাদেশের বিবেকবান মানুষ বুঝে নেন দেশের পুলিশরা কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
আরেকজন লিখেছেন, ”সত্য কখনো গোপন থাকে না। তা যেকোন দিন যেকোন সময় মুখ ফসকে বের হয়ে যায়। তার প্রমাণ এই পুলিশের বক্তব্য।”
এদিকে, বক্তব্যের মূল ভিডিওতে গিয়ে দেখা যায়, ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে রাজধানীর গোপীবাগে সেন্ট্রাল উইমেন কলেজের সামনে রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় পুলিশের ওই সদস্য কথাগুলো বলেন।
ঘটনা নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার শেষ পর্যায়ে সাংবাদিকদের তিনি ওয়ারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলে পরিচয় দেন।