সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদে নিউইয়র্কের সমাবেশ
সীমান্তে ভারতীয় বাহিনী এসএফএ’র গুলিতে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদে নিউইয়র্কে আয়োজিত সমাবেশে বক্তরা বলেছেন, একাত্তুরে স্বাধীনতার যুদ্ধে ভারত সহযোগিতা করে যে বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছে, আজ সেই বন্ধুত্ব দেখছি না। সীমান্তে স্বাধীন বাংলাদেশীদের হত্যা সহ ভারতের কর্মকান্ডে মনে হয় ভারত বাংলাদেশকে দখল করতেই সেদিন সহযোগিতা করেছিলো।
বক্তারা বলেন, ভারতের বাংলাদেশ দখলের স্বপ্ন কোন দিন বাস্তবায়িত হবে না, বরং ভারতই অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত। সেই সাথে কোন কোন বক্তা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নানা সমালোচনা করেন এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষা আর ভারতীয় ষড়যন্ত্র ও অগ্রাসী তৎপরতা রুখতে প্রয়োজনে ‘গোপন বাহিনী’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করে বলেন এছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষপটে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মতো সাহসী নেতার বড় প্রয়োজন।
‘প্রবাসী নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে গত ২৯ জানুয়ারী বুধবার সন্ধ্যায় এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম এবং সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক শেখ সিরাজুল ইসলাম।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. শওকত আলী, বিশিষ্ট সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসের, কমিউনিটি নেতা আলী ইমাম শিকদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদ, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, কমিউনিটি নেতা গিয়াস আহমেদ, জসিম ভূইয়া, সালেহ চৌধুরী, লুৎফর রহমান লাতু, ফিরোজ আহমেদ, মাকসুদুল হক চৌধুরী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্টনূর ইসলাম বর্ষণ, আহাদ আলী মন্ডল, মো: শাহাদৎ হোসেন রাজু, মো: আকতার হোসেন, আবুল কালাম, তরিকুল ইসলাম, জুয়েল চৌধুরী, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সীমান্তে ফেলানী হত্যার বিচার হয়নি। একদিনেই ৬জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করেছে। এসব হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে ভারতকে কড়া জবাব দিতে হবে। নতুজানু পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ টিকিয়ে রাখা যাবে না। বক্তারা বলেন, একত্তুরের মতো আমরা প্রবাসীরা বিশ্ব জনমত গঠন আর দেশে জনগনকে সাহায্য করতে পারি। বক্তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষা আর ভারতীয় ষড়যন্ত্র ও অগ্রাসী তৎপরতা রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
সমাবেশে কোন কোন বক্তা বিএনপি’র কর্মকান্ডের সমালোচনা করে বলেন, ঘরে বসে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়না, গণতন্ত্র কায়েম হয়না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে যোগ্য নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে জনগে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সমাবেশ থেকে আগামী দিনে ব্যাপকারে প্রতিবাদ সমাবেশ, প্রয়োজনে নিউইয়র্কে ভারতীয় কনস্যুলেট, জাতিসংঘ ও ক্যাপিটাল হিলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচী গ্রহণের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।