পটুয়াখালীর অপহৃত স্কুল ছাত্রী বরগুনা থেকে উদ্ধার
পটুয়াখালী শহরের হেতালিয়া বাধ ঘাট থেকে অপহৃত ৯ম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী (১৪) কে ৩ দিন পর মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার রুপধন কাটাখালী গ্রাম থেকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভিকটিমের পরিবারকে গুপ্তধন উদ্ধারের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তাকে ৯ মে মোঃ মনির মীর (২৭) নামে এক ভণ্ড ফকির তাকে অপহরণ করে। র্যাব–৮, পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন‘র নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী মোঃ মনির মীর, রুপধন কাটাখালী গ্রামের আঃ খালেক মীরের পুত্র।
র্যাব কর্মকর্তা মোঃ রইছ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, আসামী মোঃ মনির মীর নিজেকে পটুয়াখালী শহরের হেতালীয়া বাধঘাট এলাকায় একটি খানকাহ শরীফের ফকির পরিচয় দিয়ে আনুমানিক ৩/৪ মাস পূর্বে আস্তানা গড়ে তুলে। এ সময় ওই খানকাহ শরীফের পাশেই ভিকটিমের পরিবারের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে।
এ ছাড়া খানকাহ শরীফের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাড়িতে গুপ্তধন উদ্ধার করেত সক্ষম বলে গুজব ছড়ায়। ভিকটিমের পরিবারকেও গুপ্তধন উদ্ধারের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে অপহরণ করে ৯ মে মোঃ মনির মীর পালিয়ে বরগুনার রুপধন কাটাখালী নিজ গ্রামে যায়। এদিকে অপহৃত ভিকটিমের পরিবার বিভিন্ন যায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও না পেয়ে ভিকটিমের মা ১১ মে পটুয়াখালী থানায় একটি জিডি করেন (পটুয়াখালী থানার জিডি নং–৩৮৮ তারিখ ১১–০৫–২০২০ইং) এবং অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারে র্যাবের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ প্রেক্ষিতে র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে করে মঙ্গলবার ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী মোঃ মনির মীর কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও হাতেনাতে আটক করা হয়।
উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও আটককৃত আসামীকে পটুয়াখালী জেলার থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পটুয়াখালী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।