নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কমিউনিটির জন্য একক হেল্প লাইন হওয়া চাই!
মতিউর রহমান লিটু: করোনা মহামারীর কারণে সরকার এবং কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অসহায় পরিবার গুলির দিকে কিন্তু সমন্বয়হীনতার কারণে সেটা “কেও খাবেতো কেও পাবেনা” নীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে!
বর্তমান প্রেক্ষাপটে কাগজ পত্র ছাড়া নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসীরা আর্থিক ও খাবার সংকটে আছেন। বৈধ কাগজপত্র ওয়ালা, বাচ্চা, পরিবার সহ যারা আছেন তারা কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত সাহায্য পাচ্ছেন, অনেকের অবস্থা এমন যে তারা করোনা আগে যেই আর্থিক অবস্থানে ছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হয়েছেন মহামারীর কারণে।
অসুবিধায় আছেন মূলত: সেলফ এমপ্লয়েড বা ছোট ব্যবসায়ী, নতুন উদ্যোক্তারা। এই ধরণের মধ্যবিত্তরা কখনো সরকারি সাহায্য নেয়নি বলে সরকারের কাছে কোন তথ্য নেই তাই তারা আনএম্প্লয়মেন্ট এখনো পাননি, নিজেরা সারা জীবন কাজ করেই সংসার চালিয়েছেন বলে সরকারের দেয়া ফুড স্ট্যাম্প বা খাদ্য সহযোগিতার জন্য এপ্লাই করেননি- এখন এই মহামারীতে সব কিছুই তাদের পেন্ডিং হয়ে আছে। না পাইছেন আনএম্প্লয়মেন্ট টাকা, না পাইছেন সরকারি খাদ্য সাহায্য : সব কিছুই পেন্ডিং!!!!!!!
সিঙ্গেলরা অনেকেই কোন সহযোগিতার জন্য কোয়ালিফাইড না, তারা সাধারণত কাজ করেই পয়সা জমাতেন, তাদের অনেকেই রান্না করতে জানেন না- রেস্ট্রুরেন্টরে খেয়েই জীবন কাটিয়েছেন, আচমকা কাজ বন্ধ, রেস্ট্রুরেন্ট বন্ধ- এখন সমস্যাই বটে, খেতেও অসুবিধা হচ্ছে!
এদিকে কমিউনিটির সমন্বয়হীনতার অভাবে এক শ্রেণীর সাহায্য নির্ভর মানুষগুলি প্রথমত স্টেট্ প্রদত্ত সকল সুবিধা নিয়েছেন; যেমন ফুড স্ট্যাম্প, স্টিমুলাস মানি, আনএমপ্লয়মেন্ট বেনিফিট সব কিছু কোনো কিছুরই অভাব নেই তাদের কিন্তু কোনো অভাব না থাকা সত্বেও বাঙালি সমিতিগুলির দেয়া ছোট ছোট সাহায্য পাওয়ার জন্য সব সংগঠনের সাথেও তারাই যোগাযোগ করছেন। করোনা মহামারী নয় যেন তাদের পোয়া বারো!!!
অথচ অনেক পরিবার রয়েছে যাদের আসলেই সহযোগিতার প্রয়োজন, তারা কিন্তু কিছুই পাচ্ছেন না! প্রথমত কাগজপত্রহীন অথবা সেলফ এম্প্লয়ড মধ্যবিত্ত পরিবার খুব সমস্যার মধ্যে থাকলেও সেলফিবাজ সমিতি নেতারা শুধু তেলী মাথায় তেল দিয়ে যাচ্ছেন। ছবিবাজি আর গ্রূপিংয়ের কারণে সমন্বয়ের মাধ্যমে আসল পরিবারদের সাহায্য করতে ব্যর্থ হচ্ছেন! যদিও তাদের উদ্যোগ প্রশংসনীয় তবে সমন্বয়হীনতার অভাবে অতিশয় চালাক পরিবার গুলির ঘরেই পৌঁছে যাচ্ছে সকল ত্রান সামগ্রী!
আমাদের জীবদ্দশায় এমন মহামারী পূর্বে কখনো না দেখলেও ত্রান দেয়ার অব্যবস্থাপনা ও কুচক্রী মহলের স্বার্থান্বেষী থাবায় প্রয়োজনীয় পরিবার গুলি কমিউনিটির সাহায্য পেতে ব্যর্থ হচ্ছেন!
তাই বাংলাদেশী কমিউনিটির সাহায্যার্থে একটি হট লাইন তৈরী করে সকলের সাহায্য একটি ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে পরিবেশন করা গেলে আসল মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি উপকৃত হবেন।
রুখে দিতে হবে “কেও খাবেতো- কেও পাবেনা নীতি!” দুঃখজনক বিষয় হলেও সবাইকে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান করতে বাধ্য হলাম!