সরকারী ত্রাণ লুটপাট বন্ধ করতে হবে: মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক
খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, জাতীয় দুর্যোগ জাতীয়ভাবে মোকাবেলা করা দরকার। শুধুমাত্র সরকারী দলের দ্বারা এ দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব নয়। সকল রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করে করোনভাইরাস ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কমিটি করতে হবে। করোনা দুর্যোগে অভাবগ্রস্থ কয়েক কোটি মানুষ নিদারুন কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
এদিকে সরকারী ত্রাণ চুরি হয়ে যাচ্ছে। আর যতটুকু ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে তাও শুধু দলীয় লোকদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। আড়াই হাজার টাকার প্রোনদনার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানের তালিকার এক/ দেড়শ জায়গায় এক ব্যক্তির বিকাশ নম্বর। এভাবে সরকারী ত্রাণ লুটপাট বন্ধ করতে হবে। প্রকৃত অভাবীদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে হবে। আর সারাদেশের গ্রাহকদের অন্তত: ৩ মাসের বিদ্যুত, গ্যাস ও পানির বিল মওকুফের দাবী জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুুতির ঘাটতির কারণে একদিকে কোভিড-১৯ এর রোগীরা যেমন সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে চিকিৎসক, নার্সসহ চিকিৎসা কর্মীরা করোন আক্রান্ত আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। পরিস্থিতি এমন যে হাসপাতালগুলোতে সাধারণ রোগীরাও সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
আজ বিকাল ৩টায় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, অধ্যাপক কে এম আলম, আলহাজ¦ আবু সালেহীন, হাফেজ মাওলানা নোমান মাযহারী, মুফতি সাইয়্যেদুর রহমান, ডাঃ রিফাত হোসেন মালিক, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।