২৩ জুনের নির্বাচনে নিউইয়র্কের ব্রঙ্কস এরিয়া থেকে মোহাম্মদ এন মজুমদারকে ভোট দিন।
মতিউর রহমান লিটু: মার্কিন প্রশাসনের আসন্ন ২৩ জুনের নির্বাচনে আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে নিউইয়র্কের ব্রঙ্কস এলাকা থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন ফেনী জেলার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক উকিল ও বর্তমানে নিউইয়র্কে আইন পেশায় জড়িত মোহাম্মদ এন মুজুমদার।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মোহাম্মাদ এন মজুমদারকে নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। যেকোন কমিউনিটি নেতাদের তুলনায় অতীব পরিচিত মুখ তিনি। তাই আলোচনা সমালোনাও তাকে ঘিরে।
মানুষের ভুলত্রূটি থাকবেই-এর মাঝেই খুঁজে নিতে হবে দৈনন্দিন পথ চলা। তাই ব্রঙ্কস এলাকায় বসবাসরত সকল বাংলাদেশী আমেরিকানদের উচিত ২৩জুনের নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়া এবং একমাত্র বাংলাদেশী আমেরিকান ডিস্ট্রিক্ট-৮৭ এলাকার প্রার্থী মোহাম্মদ এন মজুমদারকে বিজয়ী করা। ব্রঙ্কস এলাকায় শুধু মাত্র বাঙালি ভোটার আছেন সাড়ে তিন হাজারের মতো, রেজিস্টার্ড ডেমোক্র্যাটদের সাথে বাঙালিদের একচেটিয়া ভোট পেলে মোহাম্মদ মজুমদারের বিজয় নিশ্চিত হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
আপনি যদি নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকার এসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট-৮৭ ভোটার হয়ে থাকেন নিজের প্রয়োজনে না হলেও কমিউনিটির অধিকার আদায়ের জন্য ২৩জুন ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট দিয়ে মোহাম্মদ এন মুজুমদারকে বিজয়ী হতে সহযোগিতা করবেন।
ডিস্ট্রিক্ট-৮৭ নির্বাচনী এলাকার মধ্যে পার্কচেস্টার, সাউন্ডভিউ, ক্যাসল হিল, ভ্যাননেস্ট, কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্ট-১৪ এবং ১৫ এর কিছু অংশ, এই এলাকাটা অঙ্গরাজ্য সিনেট ডিস্ট্রিক্ট-৩২ অন্তর্গত এবং সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-১৮র অন্তর্গত এলাকা। তাই আপনি যদি জিপি কোড এনওয়াই-১০৪৬২, ১০৪৬১, ১০৪৭২, ১০৪৭৩র বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলেই আপনি মোহাম্মদ এন মুজুমদারকে ভোট দিতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা বেশ জটিল। সবার পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব না। এটা বাংলাদেশের মতো স্কুল প্রতিনিধি নির্বাচন, ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, সংসদ নির্বাচনে, বা সিটি কাউন্সিল নির্বাচনের মতো এতো সহজ না।
এখানে ফেডারেল সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারেও রয়েছে কয়েক স্তর। সিনেট, হাউজ, সিনেটের মধ্যবর্তী নির্বাচন ব্যবস্থা। অর্থাৎ একজন সিনেটরের মেয়াদ কাল চার বছর তবে এই সিনেট বা হাউজ প্রতিনিধি নির্বাচনেও রয়েছে বড্ড কঠিন প্রক্রিয়া। এরপরে অঙ্গরাজ্য সরকার এবং অংগরাজ্য সরকারে রয়েছে বিভিন্ন সিটি প্রশনিক নির্বাচন ব্যবস্থা, ঠিক বাংলাদেশের মেয়োরাল ব্যবস্থার মতই মনে হবে কিন্তু বেশ জটিল!
যে কেও ইচ্ছা করলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে কিন্তু তার নাম ব্যালট পেপারে উঠবে কিনা সেব্যপারে রয়েছে বিশাল প্রক্রিয়া। প্রার্থীদের আয় ব্যয়ের তালিকা প্রকাশ, ক্রাইম, গ্রেফতার রেকর্ড সব কিছুই দিতে হয় পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে, তথ্যের সামান্য হেরফের হলেই নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা!
এখানে শুধু নির্বাচন কমিশনই নয় প্রশাসনিক বিভাগ, বিচার বিভাগ সহ সকল কিছুই স্বায়ত্বশাসিত। কেও কারো উপরে খবরদারি করতে পারেনা তবে কেও আবার জবাব দিহিতার বাইরেও না। এটা একটা জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থা।
৯০ দশকে শুরু হওয়া বাংলাদেশীদের অবস্থান আস্তে আস্তে নিউইয়র্কে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে কিন্তু প্রশাসনিকভাবে কমিউনিটির কোন প্রভাবশালী নেতা নির্বাচিত করতে না পারায় মূলধারায় কমিউনিটির দাবিগুলি অধুরাই থেকে গেছে চিরকাল। সময় এসেছে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে যার যার এলাকায় বাংলাদেশী প্রার্থীদের বিজয়ী করার, আসুন সবাই মিলে গড়ে তুলি যুক্তরাষ্ট্র আমাদের আপন দেশ যাতে করে পরবর্তী প্রজন্ম খুঁজে পায় তাদের শক্তিশালী বাংলাদেশী আমেরিকান ঠিকানা!