নিউজার্সি ষ্টেট বিএনপির উদ্দ্যোগে শহীদ জিয়ার ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত
গত শনিবার, মে ৩০, ২০২০, ছিল বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি ও বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম’র ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী।এ উপলক্ষে বিএনপি নিউজার্সি স্টেটের আয়োজনে করোনা ভাইরাস পরিস্তিতিতে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে শহীদ জিয়ার জীবনের উপর আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিউজার্সি স্টেট বিএনপির সভাপতি সৈয়দ জুবায়ের আলীর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলাউর খন্দকার , প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, জনাব আবদুস সালাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জনাব মাহিদুর রহমান, প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব জিল্লুর রহমান জিল্লু, বক্তব্য রাখেন নিউজার্সি বিএনপির উপদেষ্টা সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী নিপন, সহ সভাপতি সাইদ আলম মুকুল, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মাজকুর পাবেল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন সেলিম, সৈয়দ খালিদ আলী, মিয়া মোহাম্মদ আফজাল, বুরহান উদ্দিন বুলু, লুতফুর রহমান, মোহাম্মদ খলিল, আলা উদ্দিন, আব্দুল আউয়াল শিপার, জাকিরুল হমেল চৌধুরী, হাফেজ সৈয়দ খুবায়েব আলী, তাজুল ইসলাম শাহীন, আবুল কালাম আজাদ খান, আব্দুল হালিম আনছারী, জাহাঙ্গির আহমদ, রেজওয়ান আহমদ , আব্দুল মুহিত, রাহাত আহমদ, জাকারিয়া খান, প্রমুখ ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব সালাম বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সততার প্রতীক। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে এদেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তেন না। জাতি যখন নেতৃত্বশূন্য দিশেহারা তখনই জিয়াউর রহমান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার সততা নিয়ে তার চরম শত্রুও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। একজন সাধারণ মেজর হয়েও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আক্রমণের সময়ে প্রাণ বাঁচাতে অনেকে যখন পালিয়ে গিয়েছিল এর বিপরীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে আজো দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনা মাহিদুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহী -জনতা কিংকর্তব্যবিমূঢ় নেতৃত্বশূন্য জাতিকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্যে জিয়াউর রহমানকে কারা মুক্ত করে এনে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয় সৈনিক-জনতা। দেশের নেতৃত্ব গ্রহণের পর জিয়াউর রহমান অল্প সময়ের মধ্যেই তলাবিহীন ঝুড়ির বদনামমুক্ত করে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেন। তিনি একদলীয় শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেশে বাক-ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কালজয়ী দর্শনের প্রবক্তা জিয়া জাতির নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরেন। তাঁর অন্যতম উপহার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। তাঁর সুশাসনে উদীয়মান এক অমিত সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় আসন লাভ করে। জিয়াউর রহমান ছিলেন সমৃদ্ধ এবং উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও পথ-প্রদর্শক। তিনি বাংলাদেশকে অধিকতর সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে দেশের সম্ভাবনার প্রতিটি দিককে উন্মোচনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
প্রধান বক্তা জনাব জিল্লুর বলেন, জোটনিরপেক্ষ বলয়ে ও পাশ্চাত্যে তেজদীপ্ত ও প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ভূমিকা পালনে, সার্কের সফল স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে শহীদ জিয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের অগ্রভাগে এনে দিয়েছিলেন। জিয়ার ঈর্ষণীয় এই জনপ্রিয়তা ও দেশপ্রেমই তাঁর জন্য কাল হয়েছিল। দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা চট্টগ্রামে তাঁকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমানের শাহাদতে গোটা পৃথিবী শোকাভিভূত হয়ে পড়েছিল। এ শোকের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল শেরেবাংলানগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামাজে জানাজায়। লাখো লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সেদিন জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল।
আলোচনা পর্ব শেষে অনুষ্টিত হয় দোয়া মাহফিল, শহীদ জিয়ার আত্বার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়, এবং সদ্য পরলোকগত নিউজার্সি বিএনপির উপদেষ্টা সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুছাব্বির আলী ও কমিটির শিক্ষা বিষায়ক সম্পাদক বশির আহমদের আত্বার মাগফেরাত কামনা করা হয়, মোনাজাতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের শারীরিক সুস্থতা কামনা ও বিশ্ব করোনা ্মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।