আটকেপড়াদের ক্ষেত্রে দ্বৈতনীতি: বাঙালী হওয়াই কী অপরাধ
মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, নিউইয়র্ক
বিপুল সংখ্যক পশ্চিমবঙ্গবাসী স্বদেশে ফিরতে পারছে না। তারা আর্থিক সংকট নানাবিধ মানবিক সমস্যায় বাংলাদেশে পরবাসী । তাদের জন্য যেন কেউ নেই। তাদের প্রশ্ন বাঙালী হওয়াই কী তাদের অপরাধ? আটকেপড়াদের বক্তব্য এবং ভারত সরকারের নীতি পর্যালোচনা করলেই তা-ই প্রমাণিত হয় যে, তারা বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার।
কলিকাতা-ভিত্তিক মানবাধিকারকর্মী এবং ‘সংবাদ সোচ্চার’ পত্রিকার সম্পাদক শুভাশীষ ঘোষ বাংলাদেশে আটকেপড়া পশ্চিম বাংলার বাসিন্দাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন: বাঙালী হওয়াই তাদের মূল অপরাধ। পশ্চিম বাংলা যে সর্বক্ষেত্রে উদাসীনতার শিকার বাংলাদেশে আটকেপড়া পশ্চিম বাংলার অধিবাসীদেরকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের অনীহা ও বঞ্চনার আরেকটি প্রমাণ।
শুভাশীষ ঘোষ আটকেপড়া ভারতীয় বাঙালীদের বেশ কয়েকটি ভিডিও এই প্রতিনিধির কাছে প্রেরণ করেন। ভিডিও’র সাথে বেশ কিছু টেলিফোন নম্বরও ছিল। আলোচ্য নিবন্ধ ওইসব ভিডিও বার্তা এবং আটকেপড়া ভারতীয় বাঙালীদের বাংলাদেশী টেলিফোন নম্বরে নিউইয়র্ক থেকে নেয়া সাক্ষাৎকারের সমন্বয়ের ফসল ।
ইতোমধ্যে ১৪ জুন আটকেপড়াদের একজন কুচবিহারের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ৫০জন বাঙালীদের পক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এই ৫০ জনের মধ্যে আটজন মুসলমানের নামও রয়েছে।
ফোনে আলাপকালে কেউই সঠিকভাবে বলতে পারেন নি এই মুহুর্তে কতোজন ভারতীয় বাঙালী বাংলাদেশে অবস্থান করছেন । কেউ কেউ এদের সংখ্যা কয়েক হাজার বলেও উল্লেখ করেছেন।
সববেত আবেদনপত্র জমা দেয়ার বেশ আগ থেকেই এদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে তাদের আর্থিক ও মানবিক সমস্যার কথা জানাতে ভারতীয় হাইকমিশনে ব্যক্তিগত কিংবা দলবদ্ধভাবে যোগাযোগ করে কোন সহযোগিতা পান নি বলে অভিযোগ করেন।
ফোনে কথা বলার সময় এদের সবাই এই প্রতিবেদকের কাছে প্রায় অভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাদের মূলকথা হলো: আমরা অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার। আমাদের সবারই অভিন্ন দাবি: আমরা দ্রুত আমরাদের নিবাসে ফিরে যেতে চাই। আমরা আর্থিক সংকটে রোগ-বালাইয়ে, মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। আমাদেরকে সাহায্য করুন।
আটকেপড়াদের পক্ষে আবেদনে একমাত্র স্বাক্ষরকারী জাহাঙ্গীর আলম ভারত সরকারের দ্বৈতনীতির কথা উল্লেখ করে জানান: ‘বন্দে ভারত মিশন’এর আওতায় বাংলাদেশে আটকেপড়া চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীদেরকে সরকারী খরচে ভারতে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীনও কোন পয়সা দিতে হয় না। দুনিয়ার সব দেশ থেকে ফিরে আসা সব ভারতীয় এই সুবিধা ভোগ করেছেন। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন।
আলম জানান ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসামের অধিবাসী ভারতীয়দেরকে স্ব স্ব রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাবার সুযোগ দেয়া হয়েছে। অথচ আমাদেরকে বলা হয় জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা খরচ করে বিমানে দেশে যেতে হবে। আরেকটি শর্ত হলো: আমাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন দৈনিক দুইহাজার টাকা দিতে হবে। অথচ এই পরিমাণ টাকাও আটকেপড়া বাঙালীদের নেই।
তিনি বলেন, সীমান্তপথ খুলে দেয়া হলে আমরা পায়ে হেঁটেই আমাদের দেশে ফিরে যেতে পারি। আমরা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারি। তার প্রশ্ন: ভারত হতে সীমান্তপথে বাংলাদেশীরা বাংলাদেশে ঢুকতে পারলে, আমরা কেন একই পথ দিয়ে ভারতে ঢুকতে পারি না? আমরা কতো দিন পরবাসে থাকবো?
আটকেপড়াদের অভিযোগ, যারা গরীব তাদের কেউ নেই। তাদের জন্য সুযোগ নেই। অথচ এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবার জন্যই সমসুযোগ থাকা উচিত। তারা জানান: যাদের টাকা আছে তাদেরকেই সরকারী খরচে দেশে নেয়া হয়েছে। আর আমাদের বেলা বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। আমাদের টাকা নেই, তাই আমাদেরকেই তো আগে নেয়া উচিত।
তারা জানান বিভিন্ন কারণে তারা বাংলাদেশে এসেছেন: বিয়ের দাওয়াতে, আত্মীয়-স্বজনকে দেখতে, কিংবা ঘুরতে অথবা ক্ষুদে ব্যবসায়ী হিসেবে ।
এদের মধ্যে রয়েছেন এমন ক্যান্সাররোগী যিনি দুইমাসের ঔষধ নিয়ে এসেছেন, অথচ বাংলাদেশে অবস্থান করছেন চারমাস। ফলে তিনি ঔষধ কিনতে পারছেন না। আরো রয়েছেন এক বছরের শিশু যার পোলিও টিকা নেয়ার সুযোগ হয় নি। সবাই আর্থিক সংকট ও মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন।
শিক্ষার্থীদের সমস্যা আরো বেশি প্রকট। এরা পরীক্ষা দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। ইতোমধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেও তারা স্বদেশে যেতে পারছে না। এদের অনেকেই মা কিংবা বাবার সাথে বাংলাদেশে এসেছেন।
৩২ বছর বয়সী দিনেশ দাস জানান ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রায়ই তিনি বাংলাদেশে যাওয়া-আসা করেন। সর্বশেষ ১৩ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আসেন। আর যেতে পারেন নি। তিনি বর্তমানে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তের পাশে রয়েছেন। তিনি এবং তার দুইসাথী রাম শংকর গিরি ও রঞ্জিত দাস একটি ছোট কক্ষে ভাড়া থাকেন। এখন বাসাভাড়ার টাকাও দিতে পারছে না।
তিনি পশ্চিম বাংলার সুন্দরবন-লাগোয়া কাকদ্বীপের অধিবাসী । তিনি এবং তার সাথীরা তাদের এলাকায় সুটকি বানিয়ে চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জে সুটকি পট্টির আড়তে সরবারাহ করতে যাওয়া-আসা করেন। এবার করোনার কারণে লকডাউনে আটকা পড়েছেন। তার বৃদ্ধ বাবা অসুস্থ। আমপাম ঘুর্নিঝড়ে তাদের বাড়িঘর ওড়ে গেছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছেও পয়সা-কড়ি নেই।
দিনেশ দাসের মতে এই মুহুর্তে প্রায় ৫০০ বাংলাভাষী ভারতীয় বাংলাদেশে আটকা পড়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় দেড়শ’ জনের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। এরা ছোট ছোট দলে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বাসা ভাড়া দিতে না পারায় তাদের অনেককেই রাস্তায় কিংবা কারো বারান্দায়, অথবা দোকানের সামনে রাত কাটাতে হয়। যারা আত্মীয়স্বজনের ঘরে রয়েছেন তারাও স্বস্তিতে নেই। তারা নিজেদেরকে আত্মীয়ের জন্য বোঝা মনে করেন।
বাংলাদেশী, বিশেষত মুসলমানদের ব্যাপারে তার মন্তব্য জানতে চাইলে দিনেশ দাস জানান: কোন মুসলমানই আমাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন না, বরং তারা সহযোগিতা করেন। তার মতে: বাংলাদেশীরা উদার । তাদের মন বড়। তাদের হৃদয় বিশাল।
কলিকাতার সন্দীপ হোর জানান তার মা ঝর্ণা হোরকে নিয়ে তিনি বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। তার অভিযোগ অনেকবার ফোন করেও তিনি ভারতীয় দূতাবাস থেকে কোন সঠিক তথ্য পান নি। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তার মা উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, লিভার ও হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। তাকে দ্রুত ভারতে নেয়া জরুরী।
দীনেশ সিংহ টুইটারের জানান: ১১ মার্চ তার মা, বাবা ও বোনকে নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে আটকে পড়েছেন। তারা চিন্তিত ও বিচলিত হয়ে মানসকি ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তারা ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগও করতে পারেন নি। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তার আবেদন: আমাদেরকে উদ্ধার করুন।
হুগলির বাসিন্দা অজয় চন্দ্র মন্ডল জানান: ১৪ ফেব্রুয়ারী বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশে আসেন। ফেরত যাবার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা হয় নি। হাতে টাকা-পয়াস নেই। তার মতে বাংলাদেশে একই অবস্থায় হাজারো লোক রয়েছে। তারা সবাই ভীতি ও উৎকন্ঠায় রয়েছেন কবে স্বদেশে ফেরত যেতে পারবেন। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে তার আবেদন: সীমান্তপথ খুলে দেয়া হোক।
কলিকাতার স্বর্ণালী দেব সরকার। সাত বছরের মেয়ে নিয়ে ৬ মার্চ বাংলাদেশে আসেন। ভারতীয় দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে বিমানে ভারতে নিয়ে যাবার আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু তার কাছে বিমানে যাবার টাকা নেই। তারও আবেদন সীমান্তপথ খুলে দেয়া হোক।
শিলিগুড়ির পার্থ এবং তার পরিবার ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এখন তারা অসহায়। ভারতীয় দূতাবাস তাদেরকে বিমানে ভারতে নিয়ে যাবার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তাদের হাতে বিমান ভাড়া নেই। আরো বহু পরিবারের একই অবস্থা। তার আবেদন ফুলবাড়ি, চেঙ্গামন্দা, হিলি, বেনাপোল সীমান্ত খুলে দেয়া হোক। আমাদের মতো অনেক পরিবার বাংলাদেশে রয়েছেন। তাদেরও বিমানে দেশে ফেরার সামর্থ নেই।
৬ মার্চ ২০ দিনের জন্য একাকী বাংলাদেশে আসেন নদীয়া জেলার কৃঞ্চনগরের গৃহবধু শান্তনা রায় । বর্তমানে রয়েছেন বাংলাদেশের গাজীপুরে। ২৪ মার্চ ভারতে যাবার জন্য তিনি ভোমরা সীমান্তে যান। কিন্তু তাকে ভারতে ঢুকতে দেয়া হয় নি। ভঙ্গুর মন নিয়ে লাজ-শরম ভুলে তাকে আবার গাজীপুরে ফেরত আসতে হয়।
তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতে কবে লকডাউন হচ্ছে তা অন্তত ৩/৪ দিন আগে ঘোষণা করা হলে আমাকে আজকের বিড়ম্বনায় পড়তে হতো না। আমি লকডাউনের আগেই ভারতে চলে যেতাম।
তিনি জানান: আমার দুই ছেলেকে নিয়ে আমার স্বামী-শাশুড়ী মহা ঝামেলায় রয়েছেন। ছোট ছেলে অর্নবের বয়স আট বছর। বড়টির বয়স ১১ বছর। ছোট ছেলে প্রায়ই কান্নাকাটি করে। তাকে থামানো যায় না।
তিনি জানান: আমিও মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। হাতে কোন টাকা-পয়সা নেই। এমনকি ফোনে টাকা ঢুকিয়ে যে তাদের সাথে কথা বলবো, তেমন অবস্থাও নেই। আত্মীয়ের বাড়িতে কতোদিন থাকা যায়? চারমাস ধরে তো রয়েছি। আর কতো? আমার তো চক্ষুলজ্জা আছে। এমন বিপদে আর পড়ে নি।
শান্তনা রায় বলেন, ভারতীয় দূতাবাসে মাস দেড়েক আগে ফোন করেছি। এরপরেও ফোন করেছি। তারা কোন ধরনের সহযোগিতা করেন নি। কী যে মানসিক যন্ত্রণা ও আর্থিক সংকটে রয়েছি, তা ভাষায় বলা যাবে না। আমার মতো আটকেপড়া সব বাঙালী নিরাপদে স্থলপথে স্বদেশে ফিরে যেতে চাই।
ভারতের কেন্দ্রিয় সরকার এবং পশ্চিম বাংলা সরকারের কাছে তাদের সবারই অভিন্ন দাবি: ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়ের মতো পশ্চিম বাংলার সীমান্তপথ খুলে দেয়া হোক। আমরা নিজস্ব উদ্যোগে কম খরচে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাব। এদের অনেকই জানান তাদের বাড়ি বাংলাদেশের সীমান্ত-লাগোয়া।
তাদের প্রশ্ন ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়ে স্থলপথ/সীমান্ত খুলে দেয়া গেলে কেন গেলে পশ্চিম বাংলার সীমান্তপথে যাওয়া যাবে না?
শান্তনা রায়ের কাছ থেকে তার বাসার ফোন নম্বর নিয়ে ১৮জুন নিউইয়র্ক সময় দুপুর ১২টার দিকে ফোন করলে তার শাশুড়ী জানান যে, তার ছেলে তখনো বাসায় আসেন নি। তিনি জানান তার পুত্রবধুর অভাবে তার নাতিরা কান্নাকাটি করেন। তাদের লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছে। তাদের কাছে এতো টাকা নেই যে পুত্রবধুকে বিমানে ভারতে ফিরিয়ে আনতে পারেন। তার ছেলে স্বর্নকারের কাজ করেন। সীমিত আয়ের সংসারে এতো টাকা যোগাড় করার কোন সুযোগ নেই।
কথা হয় শান্তনার বড় ছেলে স্পর্শরায়ের সাথে। মায়ের কথা বলতেই সে কেঁদে ফেলে। সে বলে আমার মোটেই ভালো লাগে না। মা না থাকায় আমার ছোটভাই আরো বেশি কষ্ট পায়। তাকে থামানো যায় না। স্পর্শ রায় কাঁদতে কাঁদতে আমাকে বলে: কাকু যে করেই হোক আমার মাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে আনুন। আমাদেরকে বাঁচান। আমরা কষ্টে আছি।
স্পর্শ রায়ের আকুতি আমার হৃদয়কে স্পর্শ করেছে। এমন মানবিক দুর্যোগ আগে কখনোই দেখি নি। স্পর্শ রায়দের আকুতি মেটানোর ক্ষমতা আমার নেই।
এটা মেটানোর দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদির আর মমতা ব্যানার্জির। মোদিই এই মানবিক সমস্যা ও আটকেপড়া বাঙালীদের দুঃখ-দুর্দশার জন্য দায়ী। পর্যাপ্ত সময় দিয়ে লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হলে এমন দুঃসহ সমস্যা হতো না।
অন্যদিকে হাজার ডলার ব্যয়ে দুনিয়ার বিভিন্ন থেকে লাখ লাখ ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হলেও পশ্চিম বাংলার ক’হাজার বাঙালীদেরকে কেন বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে না, এটা কারো বোধগম্য নয়। এমন বৈষম্য, বঞ্চনা কেন তা ভুক্তভোগীরা তো বটেই আমার মতো বিদেশীরা জানতে চান। জানতে চান এই ধরনের আচরণ দেখিয়ে দেয় ভারতের থলি খালি। এটা কথিত পরাশক্তি ভারতের দারিদ্রতা না কী বাঙালীদের প্রতি চরম ঘৃণার প্রতিফলন? *