বাংলাদেশী দালালদের ধরতে ভিয়েতনামী পুলিশের অভিযান শুরু!
নিউইয়র্ক ডেস্ক: ভিয়েতনাম সরকার বাংলাদেশী দালালদের ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে৷ দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে কিছুদিন আগে ভিয়েতনামের ভুং তাও থেকে ১৭ জন শ্রমিক হ্যানয়ে পৌঁছে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন৷ ভুং তাও থেকে হ্যানয়ের দূরত্ব এক হাজার ৬৭৭ কি.মি.৷
ভিয়েতনাম পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় হো চি মিন, নি ডুওং ও ভুং তাও শহরের পুলিশকে বাংলাদেশী দালালদের ব্যাপারে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে৷ তাদের বাংলাদেশী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে৷ ওই ১৭ বাংলাদেশী নাগরিককে ভুং তাও শহরে ফিরিয়ে নেয়া, ফ্লাইট চালু হলে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতেও ভিসা স্পন্সরকারীদের নির্দেশ দিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ৷
১৭ জন বাংলাদেশী তারা দালালকে সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়ে সাত মাস আগে ভিয়েতনামে আসেন৷ তাদের ভুং তাও-ও হুন্দাই কোম্পানির একটি শিপইয়ার্ডে কাজ দেয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু গত সাত মাসে তাদের কোনো কাজ দেয়া হয়নি৷ তার দাবি, তাদের সবার বিএমইটির অনুমোদন আছে। রায়হান নামে এক ভুক্তভোগী জানান ‘‘সাত মাসে চাকরি তো দেয়ই নাই, উপরন্তু আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে আরো ১,১০০ ডলার করে জোর করে নিয়েছে দালালরা৷ ’’তিনি জানান, বাংলাদেশের আতিক, সাইফুল ও সোবহানসহ আরো কয়েকজন মিলে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে ভিয়েতনামে৷ তারা ভিয়েতনামের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের জাল কাগজপত্র তৈরি করে বাংলাদেশিদের নিয়ে আসে৷ প্রত্যেকের কাছ থেকে চার-পাঁচ লাখ টাকা নেয়৷ কিন্তু বাস্তবে ওইসব প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্বই নেই৷ চাকরি তো দেয়ই না, উল্টো প্রতারাণা করে আরো টাকা আদায় করে, নির্যাতন করে৷ বাংলাদেশেও তাদের একটি চক্র আছে৷ তারা লোক সংগ্রহ করে৷‘‘সাত মাস ধরে কোনো প্রতিকার না পেয়ে আমরা ভুং তাও থেকে হ্যানয় এসে দূতাবাসের সামনে অবস্থান করি,’’ ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দাবি করেন, তারা প্রতারিত বাংলাদেশিদের ব্যাপারে নানা ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন৷