বাউফলে সেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ: আহত ১০
পটুয়াখালীর বাউফলে সেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রফিকুল ইসলামকে(৩৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং যুবলীগ নেতা বশির (৩৪) ও ইব্রাহিমকে (২৮) বাউফল উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মটর সাইকেলযোগে কেশবপুর কলেজের পাশ দিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এসময় ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজন তালুকদার, তার ছোট ভাই রুমন তালুকদার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জহিরুল হকের নেতৃত্বে ৫-৭ জন লোক রফিকুল ইসলামের মটর সাইকেলের গতিরোধ করে তাকে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে জখম করে এবং তার মটর সাইকেলটি ভাংচুর করে।
একপর্যায়ে তাকে টেনে হিচড়ে কলেজের ভিতরে একটি রুমে নিয়ে পুনরায় মারধর করে। খবর পেয়ে কালিশুরী আরআরএফ পুলিশ ক্যাম্পের এসআই রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। রফিকুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন দুপুর দেড়টার দিকে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলামের ১০-১২ জন অনুসারীরা কেশবপুর বাজারে গিয়ে সুজন তালুকদার ও যুবলীগ সভাপতি জহিরুল হকের অনুসারী ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিমসহ ৮-১০ জনকে মারধর করে। এদের মধ্যে আহত বশির ও ইব্রাহিমকে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলেও সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।