স্বাগতম ‘বাইডেন-হারিস’ জুটিকে
কাউসার মুমিন: ক্যালিফোর্নিয়া সিনেটর ও ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট পদের প্রাক্তন প্রার্থী কমলা হারিস (KAMALA HARRIS )-কে ভাইস প্রেসিডেন্ট (VP) পদের জন্য বাছাইয়ের মাধ্যমে ডেমোক্রেট দল সর্বোত্তম প্রজ্ঞার পরিচয় দিলো। এর ফলে আফ্রিকান আমেরিকান, ইন্ডিয়ান আমেরিকান, ব্ল্যাক আমেরিকান কম্যুনিটি সহ নারী ও অশ্বেতাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে ডেমোক্রেট দলের আবেদন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, কামাল হারিসের বামঘেঁষা চিন্তাভাবনা ডেমোক্রেট দলের বার্নি স্যান্ডার্স পন্থীদের ভোটকেন্দ্রে যেতে উৎসাহ যোগাবে
সিনেটর কমলা হারিসের বাবা ড্যানিয়েল হারিস একজন জ্যামাইকান-আমেরিকান-তিনি আমেরিকার বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি তে অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন। মা শ্যামলা গোপালন হারিস একজন ভারতীয় আমেরিকান-দক্ষিণ ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন ক্যান্সার গবেষণা করতে, পিএইচডি করেন। তারা দুইজনই ন্যাচারালাইজেশন সূত্রে মার্কিন নাগরিক। কমলা হারিসের জন্মের সময় (১৯৬৬) তাঁর মা বাবা কেউই মার্কিন নাগরিকত্ব পাননি। তাদের দুই মেয়ে কমলা হারিস এবং মায়া হারিস-তারা দুইজনই জন্ম সূত্রে মার্কিন নাগরিক।
আমেরিকার সংবিধানমতে একজন প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে অবশ্যই জন্ম সূত্রে মার্কিন নাগরিক এবং কমপক্ষে ৩৫ বছর বয়স হতে হবে। জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক কমলা হারিসের বয়স এখন ৫৫-কিন্তু, রিপাবলিকান অন্ধ সমর্থকরা তাঁর বিরুদ্ধে এখনই প্রচারণা চালানো শুরু করেছে যে, “কমলা হারিসের জন্মের সময় তাঁর মা বাবা মার্কিন নাগরিক ছিল না-তাই কমলা হারিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নেই-ডেমোক্রেট দল সংবিধানের তোয়াক্কা করে না”, ইত্যাদি অসত্য তথ্য দিয়ে। বাস্তবে সত্য হলো, মা বাবা নয়-প্রার্থী নিজে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক হলেই হবে।
আর শিক্ষিত রিপাবলিকানরা কমলা হারিসের বিরুদ্ধে নেমেছে অন্যভাবে। তারা বলছে, কমলা হারিস অতিমাত্রায় বামপন্থী-সে বার্নি স্যান্ডারেসের বামচিন্তাভাবনা দ্বারা প্রভাবিত এবং তাঁর নিজের বামপন্থী অর্থনৈতিক চিন্তাধারা আমেরিকার অর্থনীতি ও ব্যবসাবাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। রিপাবলিকান শিবিরের এই কমলা হারিস বিরোধী প্রচারণা মূলত: তাদের নার্ভাসনেস এর পরিচয়….
কারণ ডেমোক্রেট দল আগামী নির্বাচনে শুধু একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আর একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিয়েই মাঠে নামছে না-মূলত ডেমেক্রেটদের ক্যাম্পেইনে রয়েছেন দুইজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী -নির্বাচিত হলে এই দুইজনের উভয়েই প্রথমদিন থেকেই একজন প্রেসিডেন্ট-এর মতো দেশ চালাতে সক্ষম হবেন।
স্বাগতম ‘বাইডেন-হারিস’ জুটিকে।