ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট স্টিফেন বিগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল কালাম আবদুল মোমেন সাংবাদিক সম্মেলন
ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট স্টিফেন বিগানের বক্তব্য
ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আজ, এই অপরাহ্নে আপনার ও আপনার টিমের সাথে মিলে এখানে উপস্থিত হতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।
আমি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি, কিন্তু আমাকে বলতেই হবে, অনেক আমেরিকানের মতো, আমিও এই দেশে আসার জন্য গভীর আগ্রহ ও আকর্ষণ বোধ করেছিলাম। আমি যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যেকার বহু দশক ধরে চলে আসা সম্প্রীতির সম্পর্কের সাম্প্রতিকতম সহযোগিতাগুলো উদযাপন করতে এখানে (বাংলাদেশে) আসতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। এবং (আমাদের দুই দেশের মধ্যেকার সম্প্রীতির সম্পর্ক) বহু বছর ধরে বাংলাদেশী জনগণ এবং আমেরিকান জনগণকে ঘনিষ্ঠভাবে একত্রিত রেখেছে।
(বাংলাদেশের) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে, যেমনটা তিনি বলছিলেন। এছাড়াও, গতকাল সন্ধ্যায় আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর টিমের সদস্যদের সাথেও একটি দীর্ঘ বৈঠক করেছি যেখানে আমরা বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতার একাধিক বিষয় নিয়ে আরো গভীরভাবে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে দেখে এবং একটি স্বাধীন ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলা ও এগিয়ে নিতে আমরা নিজেদের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ এই অঞ্চলে আমাদের কাজের কেন্দ্রস্থল হবে।
আমরা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আমাদের অমূল্য ও গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের আলোচনায় কোভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশের সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা সরঞ্জাম উত্পাদন ও বিতরণে আমাদের যৌথভাবে কাজ করার (অভিজ্ঞতা) এবং অদূর ভবিষ্যতে ওষুধ উত্পাদনেও একসাথে কাজ করার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং আলোচনায় নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার পর, সেই ভ্যাকসিন বিতরণ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে সমন্বয় ও সহযোগিতা করার আশাবাদও আলোচনায় ব্যক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছে। এই ফোরাম দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আমাদের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। আমরা জানি যে, বাংলাদেশ বেসরকারি খাতের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। আমরা প্রত্যেকে আমাদের সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন করে প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছি। (বাংলাদেশের) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হলেন মি. রহমান, এবং যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে প্রতিনিধি হলেন আমাদের অর্থনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কিথ ক্র্যাচ। তারা যৌথভাবে একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এই পরিকল্পনা যখন বাস্তবায়ন করা হবে তখন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যেকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীরতর হবে।
আমাদের বৈঠক চলাকালীন আমি আনন্দের সাথে (বাংলাদেশের) পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশ্চিত করেছি যে, যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। এবং আমরা এখন আমেরিকান ও আমেরিকান সমাজের শক্তিশালী অংশ বৃহত্তর বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটির স্বার্থে বাংলাদেশী বন্ধুদের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের অপেক্ষায় রয়েছি।
যদিও অতিমারির কারণে ভ্রমণ কমে গিয়েছে এবং আমাদের দূতাবাসগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেমনটা বলেছিলেন, আমরা যে সকল (বাংলাদেশী) শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে চাচ্ছে তাদের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। এটি বলতেই হবে যে, এই মহামারী আমাদের শিক্ষার্থী, আমাদের দেশগুলো, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্মকাণ্ডের উপর অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করবে। তবে, আমি অত্যন্ত আস্থার সাথে বলতে পারি যে, ভ্যাকসিনের চিকিৎসা শেষ হওয়ার পরে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকবে না।
পরিশেষে, আমি বলতে চাই যে আমরা বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিশাল শরণার্থী জনগোষ্ঠীর অবস্থানের ফলে তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আলোচনার মাধ্যমে আমরা খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছি আমরা কীভাবে শুধু (শরনার্থী) জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানো নয়, বরং এই সমস্যার অন্তর্নিহিত কারণগুলো সমাধানে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণকে এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান দিতে পারি; যাতে তাদেরকে শরনার্থীদের বোঝা আর বহন করতে না হয়। (এক্ষেত্রে) যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই সহায়ক অংশীদার (হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে)। আমরা এই সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করার পাশাপাশি (বর্তমান চাহিদা মেটাতে) আরো বেশি মানবিক সহায়তা সংগ্রহের লক্ষ্যে একসাথে কাজ করব।
সেই সাথে, আমি আবারো, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনার আতিথেয়তা উপভোগ্য ছিল এবং আমি আজ এখানে ঢাকায় যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি তার জন্য (আপনার) প্রশংসা করি এবং আমি আপনাদের গণমাধ্যমের আগ্রহের বিষয়ে আপনার সাথে মিলে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছি। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে।
দৈনিক ইত্তেফাকের জনাব মইনুল ইসলামের প্রশ্ন: শুভ সকাল, স্যার। আমার দু’টি প্রশ্ন রয়েছে। একটি প্রশ্ন হলো প্রত্যাবাসন নিয়ে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ কী ব্যবস্থা নেবে? নির্বাচনের পরে আপনাদের দিক থেকে কী করা হবে, আপনি ৮ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেছেন। আরেকটি বিষয় হলো মি. রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে কী অগ্রগতি হয়েছে? আপনি কি আমাদেরকে এই বিষয়ে জানাবেন?
ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান: প্রশ্নের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শরণার্থী জনসংখ্যা, রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে, আমি মনে করি এটি সবাই জানেন যে (রোহিঙ্গা শরনার্থী বিষয়ে) যুক্তরাষ্ট্র সবসময় সোচ্চার এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও তাদের সাথে যাতে (সঠিক) আচরণ করা হয় সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার রাজনৈতিক প্রভাবকে যথাসম্ভব ব্যবহার করছে। তবে, আমি একথাও জোর দিয়ে বলতে চাই যে এর (সমস্যা সমাধানের) জন্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবে সাড়া পাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সকলকে দেশকে (রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে) কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
অবশ্যই, এটি কেবল বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব নয়, সেই সরকার যতোটা উদারই হোক না কেন। এটি একটি বৈশ্বিক অগ্রাধিকারমূলক কাজ এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতিটি প্রধান রাষ্ট্রকে এই সঙ্কট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মিয়ানমার সরকারকে স্বচ্ছতার সাথে সমানভাবে বলতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে যে আইনী বিষয়গুলো এখনো পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে, (সে ব্যাপারে) প্রথমেই একথা আমার উল্লেখ করা উচিত যে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনী বিষয়গুলো আমাদের আইন বিষয়ক কর্তৃপক্ষের দ্বারা সর্বোচ্চমানে যথাযথভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং এই বিষয়গুলো পররাষ্ট্র দফতরের নাগালের বাইরে। আমি জানি, এবং যেমনটা আমরা মন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেছি, ওই বিষয়গুলো পর্যালোচনাধীন রয়েছে যদিও আমি আপনাকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপডেট দিতে পারব না কারণ এটি আমার দফতরের এখতিয়ারের মধ্যে নেই। আজ সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শৈশব কেটেছে যে বাড়িতে সেখানে আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল, যেখানে ১৯৭৫ সালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল। এটি আমার জন্য এবং সকল আমেরিকানদের জন্য গভীর বেদনার বিষয় এবং এটি সেই সময়কার ঘটনার ভয়াবহতার প্রতিচ্ছবি এবং এটা আপনাদের জনগণের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরে। (প্রশ্ন করার জন্য) আপনাকে ধন্যবাদ।
নিউ এজ এর জনাব শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর প্রশ্ন: স্টেট ডিপার্টমেন্ট রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউকে, ইইউ এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের সাথে সবেমাত্র একটি উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছে। এই উদ্যোগটি কীভাবে বিদ্যমান যৌথ কর্মপরিকল্পনা থেকে আলাদা?
ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান: দাতাদের একটি সম্মেলনে দেয়া এই ঘোষণায় বর্তমানে বাংলাদেশে থাকা শরণার্থী জনগোষ্ঠীর তাত্ক্ষণিক মানবিক চাহিদাগুলোর মেটাতে আন্তর্জাতিক কমিউনিটি থেকে পর্যাপ্ত সম্পদের প্রাপ্তি নিশ্চিত করার চেষ্টার কথা বলা হয়েছে। তবে, আমি আবারো জোর দিয়ে বলতে চাই যে, এটিকে আমরা এই সঙ্কটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হিসাবে দেখছি না।
আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে অনেকটা একমত যে, বর্তমানে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে থাকা ব্যক্তিদের অধিকার এবং ফিরে যাওয়ার অধিকার পুনরুদ্ধারের মাধ্যমেই (রোহিঙ্গা) সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা দরকার। আমাদেরকে তাদের তাত্ক্ষণিক মানবিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে হবে, তবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আমাদেরকে আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করতে হবে।
ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জনাব মীর মুস্তাফিজুর রহমানের প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল সম্পর্কিত। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৈদেশিক বিনিয়োগ বা অবকাঠামোগত খাতে বিনিয়োগ পেতে আগ্রহী। এই বিষয়ে আপনার অবস্থান জানতে চাচ্ছি?
ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান: যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে। আমি (বাংলাদেশের) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে একমত যে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় অংশীদার। তবে আমি যে বিষয়টি জোর দিয়ে বলতে চাই, তা হলো. বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সবচেয়ে আকষর্ণীয় দিকটি হলো বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, যা আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে ঘটতে দেখেছি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাত নিয়ে গঠিত এবং আমি বলতে পারি যে, আমরা আমাদের ব্যবসায়ী কমিউনিটির কাছ থেকে বাংলাদেশে (বিনিয়োগের ব্যাপারে) তাদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কথা শুনছি। কারণ আপনাদের ভোক্তা শ্রেণীর আকার (অনেক বড়), আপনাদের দক্ষ শ্রমিক রয়েছে, (এবং) বঙ্গোপসাগরে আপনাদের উপস্থিতি রয়েছে। এখানে এমন আরো অনেক কারণ রয়েছে যা সম্মিলিতভাবে আমাদের আগ্রহকে এখানে আসার ব্যাপারে চালিত করছে।
সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোর ভূমিকা রয়েছে, বিনিয়োগকারীরা জ্বালানি খাত, আটিসি খাতসহ বেশ কয়েকটি খাতে সহযোগিতা এবং কাজের ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে আগ্রহ বাড়ছে। তারমানে, ঐতিহ্যবাহী তৈরি পোশাক খাতের বাইরে বিভিন্ন খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরো বাড়ছে।
আন্ডার সেক্রেটারি ক্র্যাচ এবং মি. সালমান রহমানকে নিয়ে আমরা যে ওয়ার্কিং গ্রূপটি তৈরি করেছি, তারা (আমাদের যৌথভাবে কাজ করার) একটি পথনির্দেশ অবশ্যই দেবে যার ভিত্তিতে আমাদের সরকারি পর্যায়ের আলোচনাগুলো বেসরকারি খাতের সহায়তায় সিদ্ধান্তে পরিণত হতে পারবে। আমি আস্থার সাথে বলতে পারি যে, বর্তমান গতিপথ অব্যাহত রাখার মধ্য দিয়ে এমনটাই ঘটবে।
আপনাকে ধন্যবাদ।