বাইডেনের জয়ে ভারতীয়রা হতাশ
পিবিসি নিউজ: মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের চেয়ে ভারতের জন্য ভাল ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! এমনটাই বিশ্বাস করেন ভারতীয়দের একাংশ। কারণ, অনেকে তাকে নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে মনে করেন।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বাইডেনের নির্বাচন নিয়ে ভারতীয়দের এখনই খুব বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন হবে না বলে মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। কারণ সেভাবে কোনো বদল আসবে না। প্রতিরক্ষা, কৌশলগত এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে ২০০০ সাল থেকেই ভারতের প্রতি আমেরিকার নীতি খুব একটা বদলায়নি৷ কাজেই নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার দৃঢ় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না।
কিছু বিশেষজ্ঞ অবশ্য মনে করেন যে, বাইডেনের শাসনে ভারতের পক্ষে কিছু জিনিস বদলে যেতে পারে যা সুসংবাদ নাও হতে পারে। তারা এই সত্য অস্বীকার করছেন না যে ট্রাম্প চীনের সঙ্গে চলমান সীমান্ত উত্তেজনার সময় ভারতকে সমর্থন করেছে, তবে সম্ভবত বাইডেন নয়াদিল্লি এবং বেইজিংকে আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা করতে পারেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা যে বিষয়ে জোর দিচ্ছেন তা হল, বাইডেন মার্কিন বিদেশ নীতি ঠিক করার দায়িত্বে থেকেছেন বহুকাল। সেই সময় চীনের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে দূরত্ব গুছিয়ে ফেলার উপরই জোর দিয়েছেন বারবার। তবে সেই বাইডেনকেই এবার প্রকাশ্যে শি জিনপিংকে ‘জোচ্চর’ বলে সম্বোধন করতে শোনা গেছে। তবে তাও প্রশ্ন থাকছে, ডেমোক্র্যাট এই নেতা কীভাবে চীনের সঙ্গে বর্তমান এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন?
আশা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে কয়েকটি ক্ষেত্রে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেখানো পথেই হাঁটবেন, আবার কিছু ক্ষেত্রে তা বদলাতেও পারে৷
এইচ-১বি ভিসা আগের অবস্থায় ফিরবে, এমন সম্ভাবনাও ক্ষীণ৷ বাইডেন প্রশাসনে এলে এই বিষয়ে উদার মনোভাব নেবেন, সেই প্রত্যাশা না করাই ভাল৷
ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক সমস্যা মিটবে না বলে স্পষ্ট জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, তারা বারাক ওবামার সময়কালকে সামনে রেখে যে বিবেচনা করছেন, সেই মোতাবেক বলা যায় বাইডেনের আমলে আমেরিকা ভারতের জন্য দ্বার উন্মুক্ত করে দেবে, এমনটা হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ৷