বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরকারীদের শাস্তির দাবিতে নিউইয়র্কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরকারীদের শাস্তির দাবিতে নিউইয়র্কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নিউইয়র্ক স্টেট যুবলীগ। ব্রঙ্কসের স্টারলিং-বাংলাবাজার এলাকায় এশিয়ান ড্রাইভিং স্কুলের সামনে গত ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে আঘাত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে আঘাত করা হয়েছে। ভাস্কর্য ভাংচুরকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এসব অপশক্তিকে বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে।
স্টেট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রবিউল ইসলাম কমিশনারের সভাপতিত্বে এবং স্টেট যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আল মামুন সরকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ জামাল হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রহিমুজ্জামান সুমন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইফজাল চৌধুরী, সদস্য রেজা আবদুল্লাহ স্বপন, মোশাহিদ চৌধুরী।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মমিনুল ইসলাম, মিয়া মোহাম্মদ দাউদ, জাকির হোসেন, স্টেট যুবলীগের সহ সভাপতি নূর হোসেন ফরহাদ, স্টেট যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন কবির, সেলিম রেজা, স্বপন মাস্টার, মামুন হোসেন, আব্দুল মোতালেব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মঞ্জু মিয়া চোকদার প্রমুখ। নিউইয়র্কে কনকনে শীত ও করোনা মহামারী উপেক্ষা করে যুবলীগের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এ প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন।
বক্তারা বলেন, বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতেও ভাস্কর্য আছে। দেশে ভাস্কর্য নিয়ে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অপরাজনীতি শুরু করেছে। মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তারা দেশকে আবারও পাকিস্তান বানাতে চায়। তার আগেই এ অপশক্তিকে বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম খান নিখিলের নের্তৃত্বে দেশে-প্রবাসে যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ এবং আগের যেকোন সময়ের তুলনায় অধিক শক্তিশালী। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে যুবলীগের নেতা-কর্মীরাই যথেষ্ট। তারা যে কোন মূল্যে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মানের জন্য আহ্বান জানান।