রানার মোটরস সরকারী সিদ্ধান্ত অমান্য, মহাদেবপুরে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ : করোনাকালে ঋণের কিস্তি পরিশোধে গ্রাহককে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাধ্য করা যাবেনা এবং এই সময় কাউকে ঋণ খেলাপী করা যাবেনা বলে সরকার ঘোষণা দিলেও রানার মোটরস লি: সরকারের সে সিদ্ধান্ত মানছেনা বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার সকালে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মোয়াজ্জেম হোসেন তার চেম্বারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ উত্থাপন করেন। লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি বলেন, গতবছর ৩০ মে তিনি নওগাঁ দ্বীন ইমপেক্স রানার মোটরস লি: থেকে কিস্তিতে দুইটি ১০ চাকার ট্রাক কেনেন। প্রতিটির দাম ৪২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু কিস্তিতে প্রতিটির জন্য চার লক্ষ টাকা করে অতিরিক্ত সুদ ধরা হয়। প্রতিটির জন্য চার লক্ষ টাকা করে ডাউন পেমেন্ট দেয়া হয়। প্রতিমাসে প্রতিটির জন্য এক লক্ষ ৭৭ হাজার ১০০ টাকা করে মোট ২৪ মাসে টাকা পরিশোধ করার শর্ত দেয়া হয়।
এরপর দীর্ঘ চার মাস লকডাউন থাকায় সবরকম ব্যবসায় বন্ধ থাকে। এসময় কিস্তি আদায়ে গ্রাহককে চাপ না দেয়ার সরকারী সিদ্ধান্ত অমান্য করে রানার মোটরস কর্তৃপক্ষ চাপ দিয়ে নিয়মিত কিস্তি নেয়। কিস্তির টাকা পরিশোধে সামান্য দেরী হলেই তারা ট্রাক দুটি নিয়ে যাবার হুমকি দেয়। গত ৫ নভেম্বর কোম্পানীর লোকজন কোন পূর্বনোটিশ না দিয়ে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার একটি প্রজেক্ট এলাকা থেকে ট্রাকের ড্রাইভার হেলপারকে মারধর করে ট্রাক দুটি আটক করে কোম্পানীর নওগাঁ দ্বীন ইমপেক্সের শো-রুমে নিয়ে যায়।
হাজী মোয়াজ্জেম রানার মোটরসের দেয়া টাকা পরিশোধের স্টেটমেন্ট দেখিয়ে বলেন, গত অক্টোবর পর্যন্ত কোম্পানীর কিস্তির দাবী ছিল প্রতিটি ৩০ লক্ষ ১০ হাজার ৭০০ টাকা। এরমধ্যে তিনি পরিশোধ করেছেন প্রতিটি ২৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৩৫ টাকা। প্রতিটির জন্য কিস্তি বাকী রয়েছে মাত্র এক লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৫ টাকা। অর্থাৎ একমাসের কিস্তির চেয়েও কম। এরমধ্যে আবার কিস্তি দিতে দেরীর কারণে অতিরিক্ত সুদ ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ২৯১ টাকা।
মাত্র একটি কিস্তি বাকী থাকার জন্য সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না তাকে খেলাপী গণ্য করে প্রকল্প এলাকা থেকে ট্রাক দুটি আটক করা চরম অন্যায় বলে তিনি দাবী করেন। তিনি বলেন, এতে তার মান সম্মানের চরম হানি হয়েছে। তিনি এর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দাবী করেন।
জানতে চাইলে, রানার মোটরস লি: এর নওগাঁ দ্বীন ইমপেক্সের ম্যানেজার মি: বিপু জানান, সময়মত কিস্তি পরিশোধ না করায় ট্রাক দুটি আটক করা হয়েছে।