মির্জাগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলতাফ হায়দারের ইন্তেকাল
১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর সকালে পটুয়াখালীতে প্রথম স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মো. আলতাফ হায়দার।
১৯৩৭ সালের ১৫ জুন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলি গ্রামে জন্ম নেন আলতাফ হায়দার।
ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন সাহসী ও প্রতিবাদী। একপর্যায়ে যোগ দেন তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরের সদস্য হিসেবে। তবে ১৯৭০-এর বন্যার সময় বাড়িতে এসে আর ফিরে যাননি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নিজের বন্দুক নিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিজ গ্রাম দেউলিতে স্থাপন করেন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প। এখানেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে পাঠাতেন।
মুক্তিযুদ্ধে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ও বাউফল অঞ্চলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন আলতাফ হায়দার। ভিন্ন রণকৌশলের কারণে তিনি পরিচিতি পান।
রাজাকার-আলবদররা তাঁকে যমের মতো ভয় পেত। যুদ্ধের একপর্যায়ে রাজাকাররা তাঁকে আটক করে। তবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
আলতাফ হায়দার বলেছিলেন, ‘এই ডিসেম্বর মাসটা আইলেই শরীলডা একটু ভালো লাগে। মনে একটা জোর পাই। এহন আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান নাই।
পটুয়াখালী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বিমল কুমার রক্ষিত বলেন, আলতাফ হায়দার একাত্তরের ৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালীতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সর্বপ্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।