পলিটিক্যাল সাইন্স পলিটিক্যাল ড্রাইভের
মাজবদ্ধ জীব হওয়া সত্ত্বেও সভ্যতার অগ্রগতি (অথচ)/ কিন্তু স্তরে স্তরে সংগঠিত হয়েছিল এবং সেটা বিভিন্ন পর্যায়ে ঘটেছিল ;কিছু বিপ্লবাত্মক পরিবর্তনের মাদ্ধমে সংঘটিত হয়েছিল। অর্থাৎ যেসব পরিবর্তনের খেসারতে হচ্ছে বর্তমানের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তাই এই ব্যবস্থা একদিকে যেমন সামাজিক সত্যের ধারাকে প্রতিষ্ঠানিক দিক দিয়ে আরো স্থায়ী করেছে এবং অপরপক্ষে(ঝুঁকিপূর্ণ ) যুগের খাতায় নাম লিখিয়েছে নানান সমাজ সংস্কারকের; তাঁদের নামের সার্থকতা; তাদের পুণ্য জন্মের। আর অন্যদিকে তেমনি সভ্যতার ধারাবাহিকতাকেও ধরে রেখেছে সময়ের নানান উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে। সেই কলিযুগের মহাপতঙ্গ এখনো তৈরি হচ্ছে মাত্র। দৃশ্যপটে এখন শুধুমাত্র পতঙ্গের বিস্তৃত পক্ষপুট দৃশ্যমান। পুরা শরীর এখনো তার স্পষ্ট হয়নি ।
মহাজাগতিক যেকোনো কিছু কম-বেশি পক্ষপাত দুষ্ট হবেই এবং এরূপটি না হলে পরে তখন সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য অর্জন সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। ডারউইনিজমের সূত্র ধরে যে জ্ঞানের সূত্রপাত হয়েছিল একদিন সে জ্ঞানবৃক্ষ এখন শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত করে বিশালাকার দল হয়েছে; বিশাল আয়োজন হয়েছে। তার একটি মিল খুঁজে পাওয়া বা এরকম একটি সাদৃশ্য খুঁজে পেতে এখন মানুষকে আরো অনেক দূর যেতে হচ্ছে। অন্যকথায় বিনিময় হয়ে গেছে অর্থনীতির বিশাল শক্ত পোক্ত করে গড়া স্তম্ভ। কিন্তু ফলাফল; বহুলাংশেই সামঞ্জস্য পাওয়া তো দূরের কথা বরং ব্যাতিক্রম বলতে যা বোঝায় তাই খুঁজে পাওয়া ভার হয়েছে বর্তমানের এ সমস্ত স্টেরিওটাইপের মানব রাজ্যে। হয়তো এখানে কোন ব্যতিক্রম এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না; কারণ সম্ভবত এই অবস্থাটা হচ্ছে গণতন্ত্রের শিখর। এখনকার এই স্টেরিওটাইপ সমাজ বাস্তবতাই রাজনীতির একমাত্র সমস্যা নয় বরং এর চেয়েও বড় সমস্যা রয়েছে। সেটা হল রাজনীতির সমগ্র বিবেচ্য বিষয়াবলি। কিংবা অন্য কথায় বললে বলতে হয় সার্বিক মিথ্যাচার। এবং অতঃপর হচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্ততা; যা এই মিথ্যাচারের উপরে যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া।