নিউইয়র্কে দেয়াল ধ্বসে বাংলাদেশী এক শ্রমিক নিহত আহত ১
নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে কর্মরত অবস্থায় ২৮ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে দেয়াল ধসে এক বাংলাদেশী নির্মাণ শ্রমিক নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন। নিহত শ্রমিকের নাম জসীম মিয়া (৪৫)। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে কয়েক বছর আগে এসেছিলেন স্বপ্নের দেশে।
আহত শ্রমিক আশরাফুল হাসান (৩৫)কে ব্রুকলীনের লুথারেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে উদ্ধারকারী পুলিশ অফিসার ও দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ব্রুকলীনের সানসেট পার্ক এলাকায় ফোর্থ এ্যান্ড ফিফথ এভিনিউর মধ্যে ৪২ স্ট্রিটে একটি দু’তলা ভবনের পেছনে সীমানা দেয়াল পুননির্মাণের কাজের সময় সংলগ্ন ৯ ফুট উঁচু দেয়াল ভেঙ্গে তাদের ওপর পড়লে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানান। অকুস্থলেই মারা যান জসীম মিয়া। জসীম ছিলেন বিএনপির কর্মী। আহত যুবকও বিএনপির সমর্থক হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন বলে পরিচিতজনেরা এ সংবাদদাতাকে জানান।
সিটি বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র জানান, বছর ছয়েক আগে অভিযোগ পেয়ে ঐ সীমানা দেয়াল পরিদর্শন করা হয়। তবে সে সময় বুঝা যায়নি যে শীঘ্রই তা ভেঙ্গে পড়তে পারে। এই দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত আর কোন অভিযোগও পায়নি বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট।
তবে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর পক্ষ থেকে এ দুর্ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। জানা গেছে, বাংলাদেশী একজন নির্মাণ ব্যবসায়ী এই সংস্কার কাজটি করছিলেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি শ্রমিক দু’জনের দুপুরের খাবার ক্রয়ের জন্যে যাবার পরই দুর্ঘটনা ঘটে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।
দুর্ঘটনার সংবাদ জেনে অকুস্থলে ফিরে সম্ভবত: ৯১১ এ ফোন করেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঐ নির্মাণ ঠিকাদারের যদি লাইসেন্স না থেকে থাকে, তাহলে হতাহতদের জন্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করা সম্ভব হবে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে-অভিজ্ঞজনেরা এ কথা জানান।
নিহত জসীমের ঘনিষ্ঠ কেউ এখানে না থাকলেও এলাকার সংগঠনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কাজ করা হবে বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ আদায়ে বিশেষভাবে পরিচিত এটর্নীরা বলেছেন, মৃত শ্রমিকের স্বজনেরা ইচ্ছা করলে বাংলাদেশ থেকেও আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে।
করোনায় বিপর্যস্ত কমিউনিটিতে এই দুর্ঘটনার সংবাদে সকলেই শোকে আচ্ছন্ন।