লেঃ জেনারেল সোলাইমানি ছিলেন ফিলিস্তিনবাসীর অভিভাবক: হামাস
লেঃ জেনারেল সোলাইমানি ছিলেন গাজাবাসীর পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হমাস। ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ছিলেন গাজাবাসী ও প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক। সন্ত্রাসী মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলায় শহীদ সোলাইমানির নিহত হওয়ার প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ওসামা হামদান এ মন্তব্য করেছেন।
তিনি লেবাননের আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের ২২ দিনের আগ্রাসনের সময় জেনারেল সোলাইমানি গাজাবাসীর পাশে ছিলেন এবং প্রতিরোধ সংগ্রামকে সহযোগিতা করেছেন। হামদান আরো বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ সংগ্রামীদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় শহীদ সোলাইমানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন
গাজায় প্রতিরোধ সংগঠনগুলো সম্প্রতি যে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে সে প্রসঙ্গে হামাসের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, ইহুদিবাদীদের কবল থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়ে
গত বছরের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি শাহাদাৎবরণ করেন।
ওই হামলায় জেনারেল সোলাইমানির সঙ্গে ইরাকের জনপ্রিয় সরকারপন্থি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ দু’দেশের মোট ১০ জওয়ান ও কমান্ডার শহীদ হন। শাহাদাতপ্রাপ্ত এসব যোদ্ধা ইরাক ও সিরিয়া থেকে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস) উৎখাতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। ওই দুই দেশে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একজন সফল জেনারেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি যা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা মেনে নিতে পারেনি