নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মনিটর করা হচ্ছে ঢাকা রেঞ্জের ৯৬টি থানা
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মনিটর করা হচ্ছে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলার ৯৬টি থানা। সেখানে পুলিশের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে ডিউটি অফিসার হাজতখানা ও নিরাপত্তারক্ষীর অবস্থান। ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নুরে আলম মিনা জানালেন, পুলিশি সেবার মূল কেন্দ্র থানার কার্যক্রম নিয়ে আসা নানা অভিযোগ অনিয়ম মনিটরিং করতেই এমন ব্যবস্থা।
দায়িত্ব পালনে অবহেলা দুর্ব্যবহার ক্ষেত্র-বিশেষে আসামি বা তার স্বজনদের বিশেষ সুবিধা দেয়াসহ বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ আসে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এছাড়া নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে কি-না, ডিউটি অফিসারের কক্ষে একই লোক বারবার আসছে কি না। সেন্ট্রি রাতে কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে ভেতরে বসে আছেন কিনা। এসব বিষয় ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলার ৯৬টি থানায় ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে এভাবেই ঢাকা রেঞ্জের থানার চিত্র মনিটরিং করছেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নুরে আলম মিনা। তিনি বললেন, পুলিশি সেবার মূল কেন্দ্র থানাতে অভিযোগের শেষ নেই। তাই মনিটরিংয়ের এমন ব্যবস্থা।
নুরে আলম মিনা বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করে আনা হয়। তাদের সংখ্যা কত এবং ব্যবহার কেমন করা হয়, সে বিষয়গুলো যাতে পর্যবেক্ষণ করা যায় তাই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৯৬ থানার প্রকল্প প্রথম হাতে নিয়েছি। এর সফলতা আসলে পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানো হবে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানালেন, থানার কার্যক্রম সফল হলে পর্যায়ক্রমে সব জেলা সদর, বঙ্গবন্ধুর সমাধি, বিভিন্ন জাতীয় দিবস, ধর্মীয় উৎসবসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও ক্যামেরা নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাশাপাশি গ্রাম এলাকার বিরোধ নিষ্পত্তিতে ইউনিয়নগুলোকেও মৌজা ভিত্তিতে মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে।
৩০ দিনের ভিডিও রেকর্ড থাকায়, কেউ কোনও কিছু কোরেও অস্বীকার করতে পারবে না। ক্যামেরাগুলোতে জুম ক্যাপাসিটি থাকায় ছবি বা ভিডিওকে কাছে এনে বড় করেও দেখা যাবে বলেও জানালেন তিনি।