দ্বিতীয়বার অভিশংসনের মুখে পড়তে যাচ্ছেন ট্রাম্প!
যুক্তরাষ্ট্রে ঘৃণ্য হামলার ঘটনায় দ্বিতীয়বার অভিশংসনের মুখে পড়তে যাচ্ছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল তাণ্ডবের পর তাঁকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের বিষয়টি জোরেশোরে সামনে এসেছে। ডেমোক্রেটিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এই পদক্ষেপ নেওয়া না হলে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আজ শুক্রবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬ জানুয়ারি ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ওই দিন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিতে তাঁর সমর্থকেরা ক্যাপিটল হিল আক্রমণ করে। এ ঘটনার পর থেকেই তাঁকে অপসারণের দাবি জোরালো হয়। এ ক্ষেত্রে ডেমোক্রেটিক দলের নেতৃবৃন্দ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তবে পেন্স এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের বিরোধিতা করেছেন বলে এরই মধ্যে জানিয়েছেন তাঁর উপদেষ্টা।
প্রতিনিধির পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সিনেটের সংখ্যালঘু দলের নেতা চাক শুমার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রতি আহ্বান জানান, তিনি যেন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে অপসারণ করেন। এই পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ট্রাম্পকে অভিশংসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আজ হুঁশিয়ারি দেন এই দুই নেতা।
এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে ডেমোক্রেটিক দলের এই শীর্ষ দুই নেতা বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের ভয়াবহ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড তাঁকে ক্ষমা থেকে অপসারণের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে।’ বিবৃতিতে তাঁরা ট্রাম্প ‘অভ্যুত্থান’ চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন।
রয়টার্স জানায়, বাইডেনের নেতৃত্বে নতুন প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে দুই সপ্তাহেরও কম সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অভিশংসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব কিনা, সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। এ বিষয়ে ন্যান্সি পেলোসি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তবে তিনি এটা স্পষ্ট করেছেন যে, প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট ককাস ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল অবরোধের ঘটনার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ চায়।