ফ্রান্স চাইলে তবেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে তুরস্ক : তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তুরস্ক ও ফ্রান্সের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু। বৃহস্পতিবার তিনি আরো বলেন, যদি প্যারিসও একই ইচ্ছা প্রদর্শন করে তবে আঙ্কারা ন্যাটো মিত্রদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রস্তুত। খবর রয়টার্সের।
সিরিয়া, লিবিয়া, পূর্ব ভূমধ্যসাগর ও নাগরনো-কারাবাখ ইস্যু নিয়ে ফ্রান্সের সাথে বারবার বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে তুরস্ক। এছাড়া ফ্রান্সে হজরত মোহাম্মদ সা.-এর কার্টুন ছাপানো নিয়েও দেশটির সাথে বিতর্ক হয়েছে। জবাবে প্যারিস তুরস্কের উপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়।
লিসবনে পর্তুগীজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অগাস্টো সানতোস সিলভার সাথে এক বক্তৃতায় চাভুসোগলু বলেন, ন্যাটো মিত্রদের সাথে বর্তমান উত্তেজনা প্যারিস থেকে শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় সিরীয় কুর্দি ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে তুরস্কের আক্রমণাত্মক ভূমিকার পর থেকেই প্যারিস সরাসরি তুরস্কের বিরোধিতা করে আসছে।
চাভুসোগলু বলেন, ‘তুরস্ক সরাসরি ফ্রান্সের বিরোধী নয়। তবে ‘অপারেশন পিস স্প্রিংয়ের’ পর থেকেই ফ্রান্স সরাসরি তুরস্কের বিরোধিতা করছে’। আঙ্কারা ওয়াইপিজিকে তুরস্কে থাকা কুর্দি উগ্রবাদীদের সাথে যুক্ত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে।
তিনি বলেন, ‘অবশেষ ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইয়েভসে লে ড্রিয়ানের সাথে আমাদের খুব গঠনমূলক ফোনালাপ হয়েছে। আমরা সম্পর্ক স্বাভাবিকের জন্য একটি রোডম্যাপের উপর কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি।’
‘আমরা সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা বা রোড ম্যাপের উপর কাজ করছি। এটা এগিয়ে যাচ্ছে। …. যদি ফ্রান্স আন্তরিক হয় তবে তুরস্ক ফ্রান্সের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রস্তুত।’
গত মাসে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সংস্থাটির সদস্যদেশ গ্রিস ও সাইপ্রাসের সাথে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের সামুদ্রিক সীমা নিয়ে বিরোধের জেরে তুরস্কের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যব্স্থা প্রস্তুত করেছিল। তবে আঙ্কারার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ফ্রান্সের চাপ সত্ত্বেও মার্চ পর্যন্ত এটি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় ইইউ।
কয়েক মাসের উত্তেজনার পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তায়েব এরদোগান ও ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সেপ্টেম্বরে একটি ফোনালাপে দেশ দু’টির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে একমত হন ও তাদের পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করেন। তবে পরবর্তীকালে আবারো উত্তেজনা দেখা দেয়ায় দু’প্রেসিডেন্টই বেশ কয়েকটি ইস্যুতে পরস্পরকে অভিযুক্ত করেন