মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি বৃদ্ধির নির্দেশ ইরানের সর্বোচ্চ নেতার
চলমান অস্থিতিশীল পরস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ১৯৭৮ সালের ৯ জানুয়ারিতে ইরানের ধর্মীয় নগরী কোমে শাহ বিরোধী এক গণ-অভ্যুত্থান হয়। সেসময় শাহী জান্তার গুলিতে বহু মানুষ মারা যায়। দিবসটি উপলক্ষে দেয়া এক ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, পরমাণু সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসার ব্যাপারে ইরানের শর্তারোপ এবং ইরানের প্রতিরক্ষা সামর্থ্য ও মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির উপস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরে এসব বিষয়ে তিনি তার অবস্থান তুলে ধরেন।
তার ভাষণে কোম শহরে শাহ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানকে মার্কিন বিরোধী প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে হয়েছে।
তিনি বলেন, কোমের গণঅভ্যুত্থান ছিল মার্কিন বৃহৎ মুর্তির ওপর ইব্রাহিমি কুঠারের প্রথম আঘাত এবং এ আঘাত এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন শত্রুতামূলক নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি নির্বাচন পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বিশৃঙ্খল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যে কেলেঙ্কারি হয়ে গেল তা লিবারেল ডেমোক্রেট ব্যবস্থার অকার্যকারিতা ও দুর্বলতাই ফুটে উঠেছে।
ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের উপস্থিতি, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমরা বহুবার বলেছি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দায়িত্ব পাশ্চাত্যের। কারণ এ নিষেধাজ্ঞা ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অপরাধ এমনকি করোনা পরিস্থিতিতেও নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র : পার্সটুডে।