সরকার মানুষকে ভোটের অধিকার দিতে পারেনি : কাদের মির্জা
সরকার মানুষকে ভোটের অধিকার দিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা। বিএনপি-জামায়াতের পোস্টার না ছেঁড়ার অনুরোধ করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আব্দুর কাদের। তিনি নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের বসুর হাট পৌরসভার আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী। শুক্রবার সকালে বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ বিএনপি জামায়াতের পোস্টারে হাত দেবেন না। দিলে হাত ভেঙ্গে দিব। আমার পোস্টার মাইজদী ফেনী থেকে কিছু লোক লাগিয়ে ছিঁড়ে দেয়া হচ্ছে। বিএনপি জামায়াত আমার পোস্টার ছেঁড়েনি। তাদের কারো পোস্টার ছিঁড়বেন না।
দলীয় কোন্দলের বিষয়ে তিনি বলেন, চারিদিকে বারুদের গন্ধ। আমাকে মেরে ফেললে কবর দিয়ে আসবেন।
আবদুল কাদের মির্জা আরো বলেন, নোয়াখালীর রাজনীতি পদ্ধতি আমার অনুভূতিতে আঘাত করেছে। বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে আমার বক্তব্য নেই। সাংবাদিক ভাইয়েরাও এখন অনেক কিছু লেখা বন্ধ করে দিয়েছে। তারাও বিপদে রয়েছেন। আমাকে বহিষ্কারের কথা বলা হয়। মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার কবর ঠিক করা আছে। আমি ঠিক করে রেখেছি। হাশরের ময়দানে তাদের সাথে বসব।
তিনি জনগণের লক্ষ্যে বলেন, ওবায়েদুল কাদের সাহেব যথেষ্ট কাজ করেছেন। এসব কাজ ওবায়দুল কাদের করেছেন। এই কোম্পানীগঞ্জে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভাট, স্কুল কলেজ, মসজিদ-মন্দির এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। পৌরসভায় তার কারণে কাজগুলো হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জে গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, যাদের গ্যাস নেই তারা তিন মাসের মধ্যে গ্যাস পাবেন। অন্যথায় কোম্পানীগঞ্জের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যাওয়া বন্ধ করবো। আপনাদের নিয়ে রাস্তায় নামবো। সোজা আঙ্গুলে ঘি ওঠে না।
এছাড়াও এলাকায় সালিশ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। আমি সালিশ কমিটি করব।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমরা স্বৈরাচার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি এদেশে ভোট ও খাদ্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সরকার মানুষের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করলেও ভোটের অধিকার দিতে পারেনি। আমার কাছে সম্পদের হিসেব চাওয়া হয়। বড় নেতারা রাজনীতি করেন মানুষের সহযোগিতায়। আমার অনেক ভক্ত রয়েছে দেশে-বিদেশে তারা আমাকে অর্থ সহযোগিতা দেয়। কেউ বলতে পারবে না আমি চাঁদাবাজি করেছি।
তিনি আরো বলেন,দুর্নীতির সাথে প্রশাসন জড়িত রয়েছে। তাদের বিচার করতে হবে। মাদকে ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছে কিন্তু আমাদের দল তা কার্যকর করেনি। এটা নেত্রীকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। নেত্রীর প্রতি অনুরোধ আপনি আদেশ দিলে আমরা কোম্পানীগঞ্জ থেকে সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে জিরো টলারেন্স ঘোষণা কর্যকর করব। আপনি ঘোষণা দেন যারা মাদক ও নারী কেলেংকারির সাথে জড়িত তাদের দলে স্থান নেই। বিদেশে যাওয়া ও চাকরির ক্ষেত্রে ডোব টেস্ট করতে হবে। এ সময় উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।