বিচারের জন্যে গ্রেফতার হচ্ছেন ট্রাম্প !
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, অপরাধমূলক তৎপরতার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। গত বুধবারের নারকীয় ঘটনা নিয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হওয়া ট্রাম্প–সমর্থক নৈরাজ্যবাদীদের ভিডিও ও স্থিরচিত্রের জের ধরে গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। মাথায় শিং, শরীরে নানা রঙের টাট্টু আঁকা উদ্ভট ও উন্মত্ত লোকজনকে এখন পালিয়ে বাঁচতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) সর্বত্র প্রচারপত্র ছেড়েছে।
সহিংসতার জন্য দায়ী লোকজন সম্পর্কে জনগণের কাছে তথ্য চাওয়া হচ্ছে।
সিবিএস নিউজের বিখ্যাত সাংবাদিক লেসলি স্টহলের সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন ট্রাম্প ক্ষমতায় আছেন। এ সময়ের জন্য প্রশাসনের প্রধান হিসেবে ভয়ংকর এ ব্যক্তি সম্পর্কে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বুধবারের ঘটনার জন্য তদন্ত চলছে, যে ঘটনায় ক্যাপিটল হিল পদদলিত হয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন প্রেসিডেন্টের নির্দেশে তছনছ হয়েছে মার্কিন গণতন্ত্রের অন্যতম গৌরবের স্থাপনা। পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব নিয়ে এফবিআইসহ অন্যান্য সংস্থা গভীর তদন্তে নেমেছে। কোনো কিছুই বিবেচনার বাইরে নয় বলে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন।
সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী চালু করে ভাইস প্রেসিডেন্টের হাতে অবশিষ্ট দিনগুলোর ক্ষমতা দেওয়ার কথা এখনো বিবেচনায় রয়েছে। এ ছাড়া জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসন করার প্রস্তাব তৈরি করে রাখা হয়েছে। ১৮৮ জন আইনপ্রণেতা এর মধ্যেই জানিয়েছেন, তাঁরা ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য অভিশংসন–প্রস্তাবকে সমর্থন জানাবেন। সপ্তাহের শুরুতেই আগামীকাল সোমবার এ ধরনের অভিশংসন–প্রস্তাব কংগ্রেসে উপস্থাপিত হতে পারে। এর আগে ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করার জন্য চাপ বাড়ছে।
হোয়াইট হাউসে অবস্থানরত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতিগতি এখন জানার তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টসহ সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম বন্ধ হয়ে পড়েছে। তিনি বুধবারের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথাও বলেননি। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের উদ্দেশে সরাসরি কথা বলেছেন। যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কোনো কিছুর জন্য দুঃখ প্রকাশ বা মর্মাহত হতে দেখা যায়নি।