মান্দায় স্বামীর পিটুনি খেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ : বুধবার দুপুরে প্রায় প্রতিদিনের মত পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী বেবী রাণী হাজরাকে (৩২) মারধর করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান স্বামী অলক কুমার হাজরা। এরপরপরই নির্যাতিতা বেবী রাণী অপমানে ও ক্ষোভে নিজের ঘরের তীরের সাথে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এমন অভিযোগই করেছেন নিহতের ভগ্নিপতি কালিদাস অধিকারী। তিনি জানান, ১৬ বছর আগে নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডলের মেয়ে বেবী রাণীর সাথে মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের রায়পুর উত্তরপাড়া গ্রামের অলক হাজরার বিয়ে হয়। আপন হাজরা নামে তাদের ১৪ বছরের একছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বেবী রানীকে তার স্বামী প্রায়ই নির্যাতন করে আসছিল। অনেক সময় নির্যাতন সইতে না পেরে ভগ্নিপতির বাড়িতে আশ্রয় নিত। বারবারই তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে স্বামীর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হত।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বেবীকে আবারও মারধর করেন ভায়রা অলক হাজরা। স্ত্রীকে নির্যাতনের পর তিনি বাড়ি থেকে চলে যান। এসব নির্যাতন সইতে না পেরে শালিকা বেবী রানী আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে বেবী রানীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।