বিজয়ী কাউন্সিলর হত্যা নিয়ে যা বললেন ফখরুল
সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী তারিকুল ইসলামের ওপর আওয়ামী লীগের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা ও তাকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রোববার বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী তারিকুল ইসলামের ওপর আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলা ও তাকে হত্যার ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হলো সরকার রক্ত ঝরিয়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। সুষ্ঠু নির্বাচন, বিবেক, সহমর্মিতা ও দয়া-মায়ার লেশমাত্র আওয়ামী লীগের বিধানে নেই।
তিনি বলেন, দেশে যে খুনের মহোৎসব চলছে তাতে রাষ্ট্র এক অমানবিক চেহারা ধারণ করেছে। সহিংস সন্ত্রাসই হচ্ছে এদের রাজনৈতিক আদর্শ। সেজন্যই বিরোধী দল ও মতকে দমন করে যাচ্ছে রক্তাক্ত কায়দায়। শুধু রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষই নয়, বিবেকবান নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবী যারা সত্য কথা বলছেন তারাও শাসকগোষ্ঠীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন হত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যাসহ সন্ত্রাসের এক অভয়ারণ্যের নাম বাংলাদেশ। বর্তমান সরকার দেশকে এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। তিনি বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় এনে যদি শাস্তি দেয়া হতো তাহলে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী তারিকুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে জীবন দিতে হতো না।
দেশে এখন আইন-কানুনের কোনো বালাই নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সব অবিচার-অনাচার আড়াল করতেই দেশব্যাপী দুষ্কৃতিকারীরা সরকারের প্রশ্রয়ে রক্তাক্ত কর্মসূচির ধারা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জীবন দিতে হলো তারিকুল ইসলামকে। তার ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব তারিকুল ইসলামকে হত্যার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়ে তার রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন।