গ্রামভিত্তিক প্রত্যাবাসনে অসম্মতি মিয়ানমারের
আগামী জুনের মধ্যেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। তবে এক্ষেত্রে আগের দুই ব্যর্থ প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাখাইন পরিস্থিতি সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের আস্থায় নিয়ে অগ্রসর হতে চায় সরকার। আর এ জন্য রোহিঙ্গাদের গ্রাম বা এলাকাভিত্তিক প্রত্যাবাসন, রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি জাতিসংঘ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান, চীন, ভারত ও সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেসামরিক প্রতিনিধিদের উপস্থিত চেয়েছে বাংলাদেশ।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ক বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের ত্রিপক্ষীয় ফোরামের মহাপরিচালক পর্যায়ের যৌথ কার্যকরী গ্রুপের (জেডাব্লিউজি) বৈঠক এবং শেষ সপ্তাহে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সুবিধাজনক সময়ে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হবে। এ সব বৈঠকে রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দেবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সব বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার হু ডু সান। আর চীনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার লিও জাওহু। দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক চলেছে প্রায় দেড় ঘন্টা।