ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাফরউল্যা-নিক্সনের পাল্টাপাল্টি তালা
ফরিদপুরের সদরপুরে দলীয় কার্যালয়ে পাল্টা-পাল্টি তালা দিয়েছে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি পক্ষ। আজ শুক্রবার সকাল ৫টার এবং সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা দুটি ঘটে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফরউল্যা ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনের নেতৃত্বে বিভক্ত।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি উপজেলা সদরে সদরপুর স্টেডিয়ামের পাশে অবস্থিত। এ কার্যালয়টি শুরুতে কাজী জাফরউল্যার অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে নিক্সন চৌধুরী যুবলীগের কমিটিতে স্থান পাওয়ার পর তার অনুসারীরা ওই কার্যালয়ে তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে কাজী জাফরউল্যার ছবি ভাঙচুর করে ভবনটি দখল করে নেয়।
তারা জানান, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে কাজী জাফরউল্যার অনুসারীরা দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর ছবিটি অপসারণ করে এবং নতুন একটি তালা কার্যালয়ের মূল ফটকে ঝুলিয়ে দেয়। এ কাজে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক মো. আশরাফুল।
এ ঘটনার তিন ঘণ্টা পর নিক্সনের সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান নেতৃত্বে উপজেলা সদরে প্রতিবাদ মিছিল করে। তারা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জাফরউল্যাপন্থীদের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন এবং পরে নতুন আরেকটি তালা মেরে চলে আসেন।
কাজী শফিকুর রহমান বলেন, কিছু ফালতু লোক ভোর ৫টা সাড়ে ৫টার দিকে কার্যালয়ের তালা ভেঙে এমপি নিক্সনের ছবি নিয়ে যায় এবং নতুন তালা মেরে দেয়। পরে এ ঘটনা জানার পর আমরা মিছিল করি এবং কার্যালয়ে নতুন তালা লাগিয়ে দেই। এ ব্যাপারে সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
কাজী জাফরউল্লাহপন্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আলম রেজা বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। পরবর্তীতে কাজী শফিকুর রহমান ওই কার্যালয় দখল করে এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
সদরপুর থানার ওসি এস এম তুহীন আলী বলেন, এমপির বিরোধী অংশ ভোরে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তার ছবি নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে এমপিপন্থীরা একটি অভিযোগ দিয়েছেন।