আত্রাইয়ে মধ্য প্রাচ্যের সবজি স্কোয়াশ চাষ
কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ : উত্তর আমেরিকা ও মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষ হওয়া সবজি স্কোয়াশ বাংলাদেশের মাটিতে চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের বাবু ও শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক নাহিদ হোসেন। শীতকালীন এই সবজি আবাদ করে মাত্র তিন মাসেই লাভের আশা করছেন তারা।
স্কোয়াশ কুমড়ার একটি ইউরোপীয় জাত, যা খেতে সুস্বাদু এবং ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও হার্টের রোগীদের জন্য উপকারী। স্কোয়াশ মূলত উত্তর আমেরিকা ও মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষ হয়ে থাকে। দেখতে শশা আকৃতির। এটি শশার মতো লম্বা হলেও রং মিষ্টি কুমড়োর মতো। উচ্চ ফলনশীল জাতের এ সবজি ভাজি, মাছ ও মাংসের তরকারিতে রান্নার উপযোগী। এটি সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়।
কৃষক বাবু ও নাহিদ হোসেনে জানান, স্কোয়াশ আবাদের সুবিধা হচ্ছে অল্প সময়ে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ফসল উৎপাদন করা যায়। তাছাড়া এক বিঘা জমিতে যে পরিমাণ কুমড়ো লাগানো যায় তার চেয়ে দ্বিগুণ স্কোয়াশ লাগানো সম্ভব। পূর্ণবয়স্ক একটি স্কোয়াশ গাছ অল্প জায়গা দখল করে। স্কোয়াশের একেকটি গাছের গোড়ায় ৮ থেকে ১২টি পর্যন্ত ফল ধরে। কয়েকদিনের মধ্যেই খাওয়ার উপযোগী হয়। বাজারে প্রতি কেজি স্কোয়াশ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। স্কোয়াশ দেখতে অনেকটাই লাউ আকৃতির। চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সবজি এবং সালাদ হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
দেশের উচ্চ ফলনশীল ফসলের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি উৎপাদন করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন আত্রাই উপজেলার ভবানীপুরের এ কৃষক। তিন মাসে এ ফসল আবাদ করে তিনি খরচ বাদে কয়েক হাজার টাকা আয় করার আশা করছেন।
বাজার থেকে স্কোয়াশ সবজির বীজ সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে সামান্য জমিতে রোপণ করেন কৃষক বাবু ও নাহিদ। ওই আবাদে সফল হন তারা দুজনই। পরবর্তীতে তারা দুজনই বড় পরিসরে স্কোয়াশের চাষ করবেন বলে ভাবছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন বলেন, ‘স্কোয়াশ সবজি জাতীয় ফসল। যা কুমড়ো ও ধুন্দল জাতীয় ফসলের ক্রস। দেশের প্রচলিত কোনও সবজির এমন উৎপাদন ক্ষমতা নেই। তাই এই স্কোয়াশ চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষি অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে।’