গুলি ছোড়া যুবককে শনাক্ত করতে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থাসহ একাধিক টিম
প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে এই যুবককে। একটি গলি থেকে বেরিয়ে এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটানো যুবকটির পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
পুলিশ বলছে, তারা ভিডিওটি সংগ্রহ করেছে এবং ওই যুবককে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। গতকাল বুধবার (২৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রাণক্ষয়ী সংঘাতের সময়ে এই যুবক পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছোড়ে। ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা ওয়ার্ডে। পরে একটি ভিডিওচিত্রে গুলিবর্ষণের বিষয়টি সকলের নজরে আসে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, সরু একটা গলি থেকে বের হয়ে পিস্তল হাতে গুলি ছুড়ছেন কালো প্যান্ট, হলুদ-কালো জ্যাকেট পরা ওই যুবক। এরপর দলবল নিয়ে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল বালির নেতৃত্বে তাকে ধাওয়া করা হয়।
ভিডিওটির বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, ভিডিওটি সংগ্রহ করা হয়েছে। গুলি ছোড়া যুবককে শনাক্ত করতে গোয়েন্দা সংস্থাসহ একাধিক টিম কাজ করছে।
ভোটের সময় ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীরের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল বালির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাংচুর করা হয় পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ইভিএম মেশিন। এসময় বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল বালিকে আটক করা হয়। পরে ইভিএম ভাংচুরের ঘটনায় হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
পরে ওই স্কুলের ২ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। যার কারণে ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণাও স্থগিত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বাদি হয়ে করা মামলায় বালিকে প্রধান আসামি করা হয়। যে মামলায় বালিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ ধরনের অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে বলে খবর মিলেছে। ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমবাগান এলাকায় গুলিতে নিহত হন এক যুবক। এ ঘটনায় মামলা হলেও অস্ত্রের হদিস কিংবা হামলাকারী কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সস্থাগুলো।