যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জিয়া থাকবেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্র যুবদল। গত ২৪ জানুয়ারি এই ভার্চ্যুয়াল সভার আয়োজন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব।
প্রধান বক্তা ছিলেন মরহুম সাদেক হোসেন খোকার পুত্র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল।
সাইফুল আলম নীরব বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। আমরাও কঠিন সময় অতিক্রম করছি। আমরা এক নব্য ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছি। হামলা- মামলা এবং গুমকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, কোন দিন এই পৃথিবীতে কোন স্বৈরাচার টিকে থাকতে পারেনি, বাংলাদেশেও পারবে না।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকেই এই সরকার পতন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (দক্ষিণ) মেয়র পদপ্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। ভারতের সাথে বাংলাদেশ গোপনে ৫০টি চুক্তি করেছে। তিনি বলেন, এই সরকার ভোট চোর সরকার। তারা ভোট চুরি করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটতে হবে। আমাদের হতাশ হবার কিছু নেই, এই সরকারের পতন অবশ্যই হবে।
জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন ক্ষণজন্মা নেতা। জিয়ার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা অতীতে আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। আগামীকে বর্তমান নব্য স্বৈরচারকেও হারাবো। তিনি আরো বলেন, আজকে আরাফত রহমান কোকোর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। এই সরকার কোকোও হত্যা করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, এজিএম জাহাঙ্গীর হাসাইন, যুবদল নেতা আহবাব চৌধুরী খোকন, মিজানুর রহমান মিজান, আবুল কাশেম, আমানত হোসেন আমান, রেজাউল আজাদ ভুইয়া, মোহাম্মদ জাবেদ উদ্দিন, এমদাদ তরফদার, শাহবাজ আহমেদ, ফরিদ খন্দকার, ওয়াহিদুজ্জামান নিলু, ইকবাল খান, এটিএম হেলালুর রহমান, মোতাহার হোসেন, বিএম বাদশাহ, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, ইকবাল খান, হামিদুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম অরিক, চৌধুরী তানিম আহমেদ, মোর্শেদ আলম, মো: মহসিন লাল মিয়া, মাহমুদ মোস্তফা, মিলন মাহমুদ , তারিক চৌধুরী, মাসুদ রানা, মিশিগান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সাউথ জার্সি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার, ফ্লোরিডা যুবদল নেতা মতিউর রহমান, মিথিল আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ অংশে সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমদ অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।