আফগান সীমান্তে শুরু হচ্ছে তুরস্ক – পাকিস্তান তিন সপ্তাহের সামরিক মহড়া
শত্রুদের বার্তা দিতে , আফগান সীমান্তে শুরু হচ্ছে তুরস্ক পাকিস্তান তিন সপ্তাহের সামরিক মহড়া। তুরস্ক এবং পাকিস্তানের বিশেষ বাহিনীর মধ্যে সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে তিন সপ্তাহব্যাপী এ মহড়া শুরু হয়।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিবেশী আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশ খায়বার পাখতুনখোয়ার তারবেলায় অবস্থিত দেশটির সেনাবাহিনীর বিশেষ শাখার প্রধান কার্যালয়ে আতার্তুক-এক্সআই ২০২১ মহড়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহড়ায় তুর্কি স্পেশাল ফোর্স এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এলিট স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ অংশ নিয়েছে।
মহড়ায় কাউন্টার টেরোরিজম, ক্লোজ কোয়ার্টার ব্যাটল, কর্ডন অ্যান্ড সার্চ, র্যাপেলিং, ফায়ার অ্যান্ড মুভ টেকনিকস, হেলিকপ্টার র্যাপেলিং, কম্পাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, হোস্টেজ অ্যান্ড রেসকিউসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণে অংশ নেয় উভয় পক্ষের সেনা সদস্যরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, যৌথ সামরিক মহড়া ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঙ্কারা এবং ইসলামাবাদের মধ্যে প্রতিরক্ষা এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৮ সালের জুলাইতে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এএসএফএটি’এর সঙ্গে দেশটির তৈরি মিলগ্রাম করভেটসের চারটি যুদ্ধজাহাজ ক্রয়ের জন্য চুক্তি করেছে পাকিস্তানের নৌ বাহিনী। চুক্তি অনুযায়ী দুটি জাহাজ তুরস্ক থেকে তৈরি করে সরবরাহ করা হবে। বাকি দুটি পাকিস্তানে তৈরি করা হবে। চুক্তিতে কারিগরি বিষয়াদি হস্তান্তরের শর্ত যুক্ত রয়েছে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান এবং পাকিস্তানের নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল জাফার মাহমুদ আব্বাসকে সঙ্গে নিয়ে ইস্তাম্বুলে এক অনুষ্ঠানে মেটাল প্লেট কেটে যুদ্ধ জাহাজ তৈরির উদ্বোধন করেন।
বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে তুরস্ক একটি। যারা নিজের সক্ষমতায় যুদ্ধজাহাজ তৈরি, নকশা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে।