ভূমধ্যসাগরে এরদোগানের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়: আঙ্গেলা মের্কেল
ভূমধ্যসাগরে এরদোগানের পদক্ষেপ ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন মের্কেল । পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের পদক্ষেপকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে জামার্নি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সে এ কথা বলেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। খবর ডয়েচে ভেলে ও ডেইলি সাবাহর।
জার্মানির চ্যান্সেলর এরদোগানকে বলেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে তুরস্কের পদক্ষেপকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন। সোমবার জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মেরকেল বলেন, এখন আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই জরুরি।
অতীতে সাইপ্রাস ও গ্রিসের জলসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) উদ্বেগে রেখেছিলেন এরদোগান। তার দাবি ছিল– ওই এলাকা তুরস্কের জলসীমার মধ্যে পড়ে। ইইউ, সাইপ্রাস ও গ্রিস এর তীব্র নিন্দা জানায়।
এ নিয়ে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। ইইউ বারবার তুরস্ককে ওই তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানায়। সেই সঙ্গে ওই এলাকায় তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধান বন্ধ করারও আহ্বান জানায়। কিন্তু সেই অনুরোধে সাড়া দেননি এরদোগান।
গত ডিসেম্বরে ইইউ সিদ্ধান্ত নেয় যে, তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তখন বিবৃতি দিয়ে ইইউ জানিয়েছিল, তুরস্ক একতরফাভাবে উসকানিমূলক কাজ করে যাচ্ছে। সেই শীর্ষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শুধু কয়েকজন নেতা বা কর্মকর্তার ওপর হবে না, আরও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তুরস্ক এবং ইইউর দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সে ক্ষেত্রে ব্যাহত হতো। মার্চে ইইউ সম্মেলনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এরদোগান শুরুতে ইইউর হুশিয়ারি গুরুত্ব দেননি। পরে অবশ্য তেল অনুসন্ধান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এরদোগান মেরকেলকে জানান, ইউরোপের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক উন্নয়নে বিশ্বাসী। এমতাবস্থায় এরদোগানের সঙ্গে মেরকেলের আলোচনাকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।