মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে বাইডেনের
মধ্যপ্রাচ্যে মিত্রদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন বাইডেন। ইসরাইলের পক্ষে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের নগ্ন পক্ষপাতিত্ব থাকলেও বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে ভিন্ন ছক কষছেন।
ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি সৌদি আরবের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন।
দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে সৌদি হামলায় সমর্থন বন্ধের ঘোষণা দেন বাইডেন
মানবিক ও কৌশলগত বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে দাবি করে সমর্থন বন্ধের ঘোষণা দেন তিনি।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান- উভয় দলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, ‘ওবামার পর ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইল ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনর্গঠনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন তা থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছে।’
অবশ্য ইসরাইলের পক্ষে মার্কিন অবস্থানের কোনো হেরফের হয়নি। আইসিসির রুলিংকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
তাদের দাবি সদস্য না হওয়ায় এই রুলিং মানার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই ইসরাইলের।
শুক্রবার দেওয়া আইসিসির রুলিংয়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড তথা গাজা ও পশ্চিম তীরে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
ফিলিস্তিনে সংঘটিত নৃশংসতার বিচারের এখতিয়ার নিজেদের রয়েছে দাবি করে একটি রুল জারি করেছে সংস্থাটি।
একে ন্যায়বিচারের পক্ষের জয় বলে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ সাত্তায়েহ।
বিপরীতে এই রুলিংকে ‘ইহুদিবিরোধী’ বলে বিরুদ্ধে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।