অভিশংসন থেকে রক্ষা ,গণতন্ত্র ভেঙে গেছে বলে দুঃখ করলেন বাইডেন!
দ্বিতীয়বার ও অভিশংসন থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্প আর তাতে দুঃখ প্রকাশ করলেন বাইডেন। ক্যাপিটল হিলে কলঙ্কজনক হামলার ঘটনায় কংগ্রেসে অভিশংসিত হলেও সিনেটের বিচারে দ্বিতীয়বারের মতো রেহাই পেয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ভঙ্গুর’। খবর এনডিটিভির।
ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু শনিবার ভোটাভুটিতে ৫৭ সিনেটর ট্রাম্প ‘দোষী’ বলে মত দেন। এর বিপক্ষে পড়ে ৪৩ ভোট। সাত রিপাবলিকান সিনেটরও দল থেকে নির্বাচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিপক্ষে ভোট দেন। কিন্তু তাদের অন্তত ১৭ রিপাবলিকানের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। সেটি পূরণ না হওয়ায় এই যাত্রায়ও টিকে গেলেন ট্রাম্প। ফলে আগামীতে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে অংশ নিতে ট্রাম্পের আর কোনো বাধা রইল না।
যেহেতু ভোটাভুটিতে ট্রাম্পে দোষ প্রমাণ হয়নি, তাই অভিযোগ বিতর্কের মুখে পড়ল না। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে- আমেরিকার গণতন্ত্র ভঙ্গুর বলে প্রমাণ হলো। গণতন্ত্রকে সর্বদা সমুন্নত রাখতে হবে। সে জন্য আমরা চির জাগ্রত থাকব।
গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত ট্রাম্প ইতোমধ্যে তার মেয়াদ শেষে বিদায় নিয়েছেন। গত ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন।
সিনেটের ভোটাভুটি শেষ হওয়ার পর পরই এক বিবৃতিতে ৭৪ বছর বয়সী ট্রাম্প বলেছেন, তার ‘অভিযাত্রা চলবে’।
ক্যাপিটলে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি দুবার প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছেন। আর ক্ষমতা ছাড়ার পর কেবল তাকে নিয়েই সিনেটে অভিশংসন বিচারের আয়োজন হয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০১৯ সালে একবার প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। তবে সেবারও সিনেটে ভোটাভুটিতে তার পদ রক্ষা হয়।