আটককৃত নারী আইএস সদস্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে কড়া ভাষায় সতর্কবার্তা দিলেন জাসিন্ডা
তুরস্কে আটক নারী আইএস নিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ঝগড়া বেঁধেছে আবার। নারী আইএস কর্মী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দুই দেশেরই নাগরিক ছিলেন। কিন্তু তুরস্কে তিনি ধরা পড়ার পর অস্ট্রেলিয়া দ্রুত তার নাগরিকত্ব খারিজ করে দেয়। আর তাতেই বেজায় চটেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডান। তার সাফ কথা, অস্ট্রেলিয়া এভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এবং দায় এড়াতে পারে না।
অস্ট্রেলিয়ার দাবি, তারা নিয়ম মাফিক কাজ করেছে মাত্র।
নিয়ম অনুযায়ী, ওই নারী আইএস কর্মী যে দেশের নাগরিক সে দেশের কাছেই পাঠিয়ে দেবে তুরস্ক। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, ছয় বছর পর্যন্ত ওই নারী তার দেশে ছিলেন। তারপর চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়।
তার পরিবারও সেখানে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট নিয়ে ওখান থেকেই তিনি সিরিয়া যান। আইএসে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই অবস্থায় নিউজিল্যান্ডকে তার দায় নিতে গেলে সেটা ঠিক হবে না।
তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে তার ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।
২০১৪ সালে ইসলামী খেলাফত কায়েম করার কথা বলে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু করে তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুদ্ধের সময় অনেক মানুষ হত্যা করেছে তারা। কিন্তু গত বছর যুদ্ধে নিজেদের শেষ ঘাঁটিটিও হারানোর পর থেকে তারা বন্দি। সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের হাসাকা শহরে বন্দি আছে ১০ হাজারেরও বেশি জঙ্গি এবং জঙ্গিদের স্ত্রী, সন্তান।
আরডানের মন্তব্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেছেন, অটোমেটিক্যালি ওই নারীর নাগরিকত্ব খারিজ হয়ে গেছে। আর তার দায়িত্ব হলো অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করা। তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে আইন করা হয়েছে। সেই আইন অনুসারে এই ধরনের ঘটনা হলেই সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকত্ব খারিজ হয়ে যায়।
তুরস্কের কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছেন, তিনজন নারী আইএস কর্মী সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তুরস্কে ঢুকতে চেয়েছিল। সীমান্তরক্ষীরা তাদের ধরেছে।
পশ্চিমা দেশ থেকে আইএসে যোগ দেয়া হাজার হাজার মানুষ এখন সিরিয়া ও ইরাকের জেলে আছে। তাদের ফিরিয়ে নেয়া নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিধায়। এখন এই আটক নারীর ক্ষেত্রেও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে বিরোধ সামনে এসেছে